প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২১ নভেম্বর ২০২৩ ২২:০৩ পিএম
আপডেট : ২১ নভেম্বর ২০২৩ ২২:২১ পিএম
গত ছয় বছরে বহু উত্থান-পতনের সাক্ষী ইতালি। বিশ্বকাপের শেষ দুই আসরে খেলতে পারেনি চারবারের চ্যাম্পিয়নরা। মাঝে যদিও সাফল্য এসেছিল, হয়েছে ইউরো চ্যাম্পিয়ন। সেই শিরোপাধারীদেরই ইউরোতে সুযোগ পাওয়া নিয়ে শঙ্কা জেগেছিল। ইউক্রেনকে কোনো রকমে দমিয়ে শেষ রক্ষা পেয়েছে। স্বাগতিকদের রুখে মূল পর্ব নিশ্চিত করেছে চ্যাম্পিয়নরা।
জার্মানির লেভারকুসেনে সোমবার (২০ নভেম্বর) রাতে আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে ম্যাচটি জমে ওঠে। চার দিন আগে উত্তর মেসিডোনিয়াকে উড়িয়ে দেওয়ার আত্মবিশ্বাস নিয়ে নামা ইতালি শুরুতেই এগিয়ে যেতে পারত। ফেদেরিকো চিয়েসা ব্যর্থ হওয়ায় সেটি আর হয়নি। নিকোলো জানিওলোর ক্রস ছয় গজ বক্সের বাইরে ফাঁকা পেয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট হেড করেন তিনি। চতুর্দশ মিনিটে পাল্টা আক্রমণ করে ইউক্রেন। দূর থেকে নিচু জোরালো শট নেন হিওরহি সুদাকভ। তা দৃঢ়তার সঙ্গে রুখে দেন গোলরক্ষক জিয়ানলুইগি দোন্নারুমা। তার ঠিক দুই মিনিট পরই লক্ষ্যে প্রথম শট নেয় ইতালি। নিকোলো বারেল্লার প্রচেষ্টা নস্যাৎ করে দেন ইউক্রেনের গোলরক্ষক আনাতোলি ত্রুবিন।
যুদ্ধবিধ্বস্ত হওয়াতে বুন্দেসলিগার ক্লাবের মাঠের ম্যাচটি ইউক্রেনের ছিল হোম ম্যাচ। নিজেদের মাঠে খেলা আয়োজনের অবস্থা না থাকায় খেলা হয় জার্মানির মাঠে। পরের মাঠে হোম ম্যাচ হলেও স্বাগতিকদের মতো আধিপত্য দেখায় ইউক্রেন। ম্যাচজুড়ে ছিল দাপুটে। স্বাগতিকদের পেনাল্টির দাবি রেফারি নাকচ না করে দিলে নিশ্চিত উল্টো ফলে কপাল পুড়ত শিরোপাধারীদের। মূলত যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে ম্যাচ নাটকীয় মোড় নিতে পারত। ইতালির ডি-বক্সে প্রতিপক্ষের ট্যাকলে পড়ে যান মুদ্রিক, পেনাল্টির জোরালো আবেদন করে ইউক্রেন। কিন্তু ভিএআরে পেনাল্টি বাতিল করে দেওয়া হয়।
এর আগে ঘড়ির ৬৫ মিনিটে কপালে ভাঁজ পড়ার উপক্রম হয় ইতালির। সতীর্থের লম্বা থ্রোইন দূরের পোস্টে ফাঁকা পেয়ে যান ইউক্রেনের ফরোয়ার্ড মিখাইলো মুদ্রিক। শুরুতে প্রতিপক্ষের ওই থ্রোইনের গতিপথ ঠিকমতো বুঝতে পারেননি দোন্নারুমা, তবে দ্রুত ভুল শুধরে মুদ্রিকের শট পা দিয়ে ঠেকিয়ে দেন।
‘সি’ গ্রুপে দুই দলেরই সমান পয়েন্ট—১৪। তবে প্রথম লেগের সাক্ষাতে এগিয়ে ইতালি। ড্র হলেও ইউরোর বাছাই উতরাতে পেরে উচ্ছ্বসিত সফরকারী দলের গোলরক্ষক দোন্নারুমা, ‘সত্যিই আমরা অনেক খুশি। নানা বাধা-বিপত্তির পর অবশেষে জার্মানি যাচ্ছি। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন হিসেবে আরেকটি জয়ে চোখ সবার।’
অতিরিক্ত সময়ে বাতিল হওয়া পেনাল্টি নিজেদের পক্ষে না যাওয়াতে আক্রোশ ইউক্রেন কোচ সারেহ রেবরোর, ‘আমার দৃষ্টিকোণ থেকে এটি পেনাল্টি ছিল। কেন সিদ্ধান্ত বিপক্ষে গেছে জানা নেই।’ স্পর্শকাতর বিষয় এড়িয়ে গেলেও সফরকারী দলের কোচ লুসিয়ানো স্পালেত্তি প্রতিপক্ষকে দিচ্ছেন দশে দশ। তার স্বীকারোক্তি, ‘ইউক্রেন খুবই সুসজ্জিত দল। তারা আমাদের পরীক্ষা নিয়েছে।’
‘সি’ গ্রুপে আরেক ম্যাচে উত্তর মেসিডোনিয়ার সঙ্গে ১-১ ব্যবধানে ড্র করেছে ইংল্যান্ড। শীর্ষে থেকে মূল পর্বে ওঠা ইংলিশদের পয়েন্ট এখন ২০। মূল পর্বে খেলার আশা এখানেই শেষ হচ্ছে না ইউক্রেনের। আগামী বছরের মার্চের প্লে-অফ ম্যাচ জিতলে জার্মানির টিকিট পেয়ে যাবে তারা।