প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২১ নভেম্বর ২০২৩ ১১:০৪ এএম
‘শতকোটি হৃদয় ভাঙার মঞ্চ’— ফাইনালের আগে সিডনি মর্নিং হেরাল্ডে ড্যানিয়েল ব্রেটিগ এমন শিরোনামে লিখেছিলেন। গার্ডিয়ান অস্ট্রেলিয়ায় জিওফ লেমন লিখেছিলেন, ‘ভারতের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়া যদি জিতে যায় তবে সেটা হবে আপসেট এবং এটাই হবে অস্ট্রেলিয়ার সেরা বিশ্বকাপ জয়।’
স্নায়ুচাপে ভোগা প্যাট কামিন্সরা বুঝি সেরা বিশ্বকাপটিই জিতে নিয়েছে। অস্ট্রেলিয়া এবং পাকিস্তানের গণমাধ্যমে সেই খবরটিই পরতে পরতে উঠে এসেছে। ভারতের মাটিতে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জেতার খোঁচা দিতেও ছাড়েনি পত্রিকাগুলো। সেই রথে শামিল হয়েছে পাকিস্তানের মিডিয়াও।
রোহিত শর্মাদের ৬ উইকেটে হারিয়ে ভারত জয়ের গল্প অস্ট্রেলিয়ান মিডিয়া বেশ রসিয়ে রসিয়ে লিখেছে। দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ মনে করছে, কামিন্সরা ভারত থেকে সোনালি ট্রফিটি চুরি করে নিয়ে এসেছে। তাদের প্রধান শিরোনাম ছিল, ‘ভারতকে হারিয়ে ১.৪ বিলিয়ন ভারতীয় ভক্তদের চুপ করিয়ে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া, আরেকটি শিরোপা চুরি করেও এনেছে।’
দ্য হেরাল্ড সান মনে করছে এই জয় স্রেফ মিরাকল, ‘তাদের অবিশ্বাস্য বিপর্যয় দিয়ে অস্ট্রেলিয়া রেকর্ড ছয়টি বিশ্বকাপ শিরোপা জিতল... এবং আহমেদাবাদের উত্তাপের চেয়ে বেশি কিছু হয়নি।’ দ্য সিডনি মর্নিং হেরাল্ড তাদের শিরোনামে ‘চুপ’ করিয়ে দেওয়ার বিষয়টি টেনেছে।
গল্পে বেশিরভাগ সময় বলেছে ওই গল্পটিই, শুরুটাও ছিল আহমেদাবাদে স্বাগতিকদের স্তব্ধ করে দেওয়ার। কোহলিকে আউট করে কামিন্সের উদযাপনের বিষয়টি নিয়ে তারা শিরোনাম লিখেছে, ‘নীরবতা কামিন্সদের জন্য ভালো, কারণ সেটি সোনার পথ দেখায়।’
পাকিস্তানের গণমাধ্যম অবশ্য তেমন করে খোঁচা দেয়নি, রোহিতদের হারের কারণও তেমন করে খোঁজেনি। দেশটির প্রধান গণমাধ্যম জিও টিভি লিখেছে, ‘কোটি স্বপ্নের মৃত্যু’।
ডন তাদের প্রধান শিরোনামে লিখেছে, ‘ষষ্ঠবারের মতো শিরোপা ঝুলিতে পুরল অস্ট্রেলিয়া’। ভারতের সমালোচনা না করলেও অজিদের স্তুতি গেয়ে ‘বল নিউজে’ পিটিভি শিরোনাম করেছে, ‘জয়ের উল্লাসে অজিরা’।