× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

২০০৩ ফিরিয়ে আনতে চায় অস্ট্রেলিয়া

সঞ্চারি হক

প্রকাশ : ১৯ নভেম্বর ২০২৩ ১৩:৪৭ পিএম

আপডেট : ১৯ নভেম্বর ২০২৩ ১৪:২৭ পিএম

অস্ট্রেলিয়ার ২০০৩ সালে বিশ্বকাপ ফাইনাল জিতে উদযাপন।

অস্ট্রেলিয়ার ২০০৩ সালে বিশ্বকাপ ফাইনাল জিতে উদযাপন।

দক্ষিণ আফ্রিকায় বসেছিল ২০০৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের আসর। সেবার ফাইনালে উঠেছিল ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। জোহানেসবার্গের সেই ফাইনালে সৌরভ গাঙ্গুলির ভারতকে উড়িয়ে শিরোপা জেতে অজিরা। এর মধ্য দিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টপকে সর্বাধিক বিশ্বকাপ জেতার রেকর্ড গড়ে অস্ট্রেলিয়া। তবে ক্যাঙ্গারুর দেশটির বিশ্বকাপ জেতার শুরুটা হয়েছিল উপমহাদেশ থেকেই। ১৯৮৭ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের আসর বসে উপমহাদেশে। আর সেই আসরেই প্রথম শিরোপা জয়ের স্বাদ পায় অস্ট্রেলিয়া।

যদিও ১৯৯৬ সালে উপমহাদেশের আরেকটি ফাইনালে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জিততে পারেনি অজিরা। তাদেরকে সন্তুষ্ট থাকতে হয় রানার্সআপ ট্রফি নিয়েই। ২০১১ সালে উপমহাদেশের তৃতীয় আয়োজনে অজিরা হারায় তাদের আধিপত্য। হ্যাটট্রিক শিরোপাধারী দলটি জায়গা করে নিতে পারেনি সেমিফাইনালে। 

উপমহাদেশের বিশ্বকাপ আয়োজনে দুই ফাইনালে অজিদের হার-জিত সমান। এবার আরও একটি উপমহাদেশীয় বিশ্বকাপ। আবারও ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া। এবার কোনটির পুনরাবৃত্তি হবেÑ ১৯৮৭  নাকি ১৯৯৬, সেটিই এখন বড় প্রশ্ন। 

বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ানদের অভিষেক শিরোপা উৎসবের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ১৯৮৭ সালে উপমহাদেশের অভিষেক আয়েজান। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বাইরে প্রথমবার বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয় এই অঞ্চলে। আর বিশ্ব ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার উত্থানও হয় ওই আসর থেকেই। অপেক্ষাকৃত একটা সাদামাটা দল নিয়েই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে অজিরা। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তানের যৌথ আয়োজনের বিশ্বকাপে নতুন চ্যাম্পিয়নের উত্থান ক্রিকেটে যোগ করে নতুন মাত্রা। 

ওই বিশ্বকাপ থেকেই বদলে যায় ক্রিকেটেরও অনেক কিছু। ৬০ ওভারের ওয়ানডে ক্রিকেটকে নামিয়ে আনা হয় ৫০ ওভারে। সেবারই প্রথম নিরপেক্ষ আম্পায়ার দিয়ে পরিচালনা করা হয় ম্যাচ। বিশ্বকাপের ওই আসরটি বিশেষ আরেকটি কারণে স্মরণীয় হয়ে আছে। পাকিস্তানের বিপক্ষে কোর্টনি ওয়ালশের মানকাড মহানুভবতা হৃদয় ছুঁয়ে যায় ক্রিকেটভক্তদের। সেমিফাইনালে ওঠার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে শেষ বলের লড়াইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের যখন দরকার ১ উইকেট আর পাকিস্তানের জয়ের জন্য দরকার মাত্র ২ রান। সুযোগ পেয়েও ব্যাটারকে রান আউট না করে কেবল সতর্ক করেন ওয়ালশ। সেই ম্যাচে হেরে বিদায় নিয়েছিল ক্যারিবীয়রা। আর এখানেই যেন থমকে যায় বিশ্বমঞ্চে ক্যারিবিয়ান দাপট। 

তার আগে ১৯৮৭ সালের বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে ছিল নানা জটিলতা। রিলায়েন্স গ্রুপের সহায়তায় শেষ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেছিল বিশ্বকাপ। তাই তো রিলায়েন্স বিশ্বকাপ নামেই পরিচিতি পেয়েছিল সেবারের আসরটি। সমর্থকদের প্রত্যাশা মিটিয়ে দুই আয়োজক দেশ ঠিকই খেলেছিল সেমিফাইনালে। যে কারণে উপমহাদেশীয় সমর্থকদের উত্তেজনার পারদটাও ছিল অনেক উঁচুতে। প্রথমবারের মতো ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল দেখার অপেক্ষায় ছিলেন কোটি কোটি সমর্থক। তবে অস্ট্রেলিয়ার কাছে পাকিস্তান এবং ইংল্যান্ডের কাছে ভারত হেরে সমর্থকদের হতাশ করে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যায় দুই দল। এরপর ৮ নভেম্বর কলকাতার ইডেন গার্ডেনসের ফাইনালে প্রায় ৯৫ হাজার দর্শকের সামনে ইংলিশদের আটকে দিয়ে ৭ রানের জয় তুলে নেয় অজিরা। অ্যালান বোর্ডারের হাত ধরে প্রথম শিরোপা ঘরে নেয় অস্ট্রেলিয়া।

১৯৯৬ সালে দ্বিতীয়বারের মতো উপমহাদেশে আয়োজিত হয় বিশ্বকাপ। প্রথমবারের মতো সেবার বিশ্বকাপে অংশ নেয় ১২টি দল। অভিষেক হয় কেনিয়া, নেদারল্যান্ডস ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের। আয়োজক দেশ ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। ঘটনাবহুল ওই বিশ্বকাপে দুটি ম্যাচে ওয়াকওভার পায় শ্রীলঙ্কা। নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে শ্রীলঙ্কায় যেতে আপত্তি তোলে অস্ট্রেলিয়া ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে শ্রীলঙ্কা। যেখানে শক্তিশালী ইংল্যান্ডকে হারানোর পর সেমিতে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে যায় যুদ্ধবিধ্বস্ত শ্রীলঙ্কা। এদিকে কোয়ার্টার ফাইনালে নিউজিল্যান্ড এবং সেমিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে মার্ক টেইলরের অস্ট্রেলিয়া। পাকিস্তানের লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের ওই ফাইনালে অরবিন্দ ডি সিলভার অপরাজিত ১০৭ রানের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের কাছে হার মানে অজিরা। ৭ উইকেটের জয় নিয়ে শিরোপা উৎসব করে লঙ্কানরা। আর সেটিই ছিল অস্ট্রেলিয়ানদের শেষবারের মতো ফাইনালে হার।

এরপর আর কখনোই বিশ্বকাপ ফাইনাল হারেনি অজিরা। ১৯৯৯, ২০০৩ এবং ২০০৭ বিশ্বকাপের টানা তিনটি শিরোপাই জেতে তারা। এক আসর পর আবার ২০১৫-তে হারানো মুকুট ফিরে পায় অস্ট্রেলিয়া। ২০২৩ বিশ্বকাপেও উপমহাদেশের আয়োজনের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া। শিরোপার লড়াইয়ে তাদের প্রতিপক্ষ স্বাগতিক ভারত। অজি অধিনায়ক কামিন্স কি পারবেন সাতাশির অ্যালান বোর্ডার হতে, নাকি ছিয়ানব্বইয়ের মার্ক টেইলরের মতোই ফিরবেন রানার্সআপ ট্রফি হাতে?

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা