প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৭ নভেম্বর ২০২৩ ২১:৪৭ পিএম
অস্ট্রেলিয়া থেকে শক্তি-সামর্থ্যে যোজন দূরত্ব বাংলাদেশের। তবে মেলবোর্নে জামাল ভুঁইয়াদের কাছ থেকে আরেকটু বেশি আশা করেছিলেন হাভিয়ের কাবরেরা। গত বৃহস্পতিবার পুরো ম্যাচেই ডাগআউটে দাঁড়িয়ে ছটফট করতে দেখা গেছে বাংলাদেশের স্প্যানিশ কোচকে।
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ১৮৩ নম্বর স্থানে থেকে ২৭ নম্বর দলের সঙ্গে লড়াইয়ে যে বিস্তর ফারাক হবে, সেটা অনুমেয় ছিল। তবে রেক্টাঙ্গুলার স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের সঙ্গে ন্যূনতম লড়াইটুকু করতে পারেনি বাংলাদেশ। ৭ গোল হজম করেন জামালরা। চরম হতাশার দিনে দলকে ঠিকই আগলে রাখলেন কাবরেরা, ‘বাজে পরিস্থিতির পরও মনে করে দলের মানসিকতা ইতিবাচক। আশা করি এ ফল সামনের পথচলায় প্রভাবিত করবে না। জানতাম, শারীরিক ব্যবধান… আসলেই এটা অনেক বেশি হবে; তবে সত্যি এতটা পার্থক্য আশা করিনি। ম্যাচটায় আরেকটু প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ আশা করেছিলাম।’
অস্ট্রেলীয় ফুটবলারদের সঙ্গে টক্করে যখন তারিক কাজী, বিশ্বনাথ ঘোষরা যোজন যোজন পিছিয়ে ছিলেন, তখন ডাগআউটে দাঁড়ানো কাবরেরার চোখেমুখে ছিল চরম অসহায়ত্ব। হয়তো তিনি আশা করেছিলেন, কয়েক মাস ধরে শিষ্যরা যেমন খেলেছে, অজিদের সঙ্গে সেই ফুটবলটাই উপহার দেবে। কিন্তু স্বাগতিকরা যে শক্তিমত্তায় কতটা এগিয়ে, সেটিই মেলবোর্নে টের পায় বাংলাদেশ। কাবরেরা বলেন, ‘পরিস্থিতি বিবেচনায় আশা করেছিলাম আমাদের ফরোয়ার্ডরা অস্ট্রেলিয়ার রক্ষণে ঢুকতে পারবে, সম্ভবত প্রথমার্ধে এক-দুবার গিয়েছিল। কিন্তু তাদের ডিফেন্ডাররা আমাদের সে সুযোগ দেয়নি। অস্ট্রেলিয়া শারীরিকভাবে এগিয়ে ছিল, শান্ত ছিল; আমি মনে করি, ওরা ম্যাচে পুরোপুরি আধিপত্য করেছে।
বাছাইয়ে ‘আই’ গ্রুপে সামনের পথচলায় মেলবোর্নের অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে বলে মনে করেন স্প্যানিশ কোচ, ‘খুবই কঠিন দিন, বিশেষ করে ছেলেদের জন্য। এমন কিছু হবে, হয়তো হওয়ার কথাই ছিল, কিন্তু আরেকটু প্রতিদ্বন্দ্বিতা আশা করেছিলাম।’
হতাশা ঝেড়ে ফেলে শিষ্যদের সামনে দেখতে চান কাবরেরা। শক্তি-সামর্থ্যের সকারুদের সঙ্গে জামালরা যা খেলেছে তাতেই খুশি কোচ, ‘শারীরিক দিক থেকে তো বটেই, টেকনিক্যালিও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে আমাদের পার্থক্য অনেক। যাই হোক, ছেলেরা যেভাবে খেলেছে তাতে আমি খুশি। এই ম্যাচের অভিজ্ঞতা আমাদের সামনে এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে। দারুণ খেলার জন্য অস্ট্রেলিয়াকে অভিনন্দন।’