প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ নভেম্বর ২০২৩ ০০:১১ এএম
সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন নিয়েই ভারতে পা রেখেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। কিন্তু কথা ও কাজের মাঝে বিস্তর ফারাক থেকে যায়। ফল যা হওয়ার তাই হয়েছে। ভরাডুবিতে শেষ হয়েছে টাইগারদের বিশ্বকাপ। নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে বিশ্বকাপ খেলেছেন এবার দেশের ছেলেরা। নির্মম সত্যটা অকপটে স্বীকার করেছেন ক্যাপ্টেন সাকিব আল হাসান।
বিশ্বকাপ ব্যর্থতার কারণে বাংলাদেশ টিমে আসছে পরিবর্তন। কোচিং টিম তার মধ্যে অন্যতম। পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড বিশ্বকাপ শেষেই ফিরে গেছেন নিজের জন্মভূমি দক্ষিণ আফ্রিকায়। গুঞ্জন রটেছে, স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথও আছেন দায়িত্ব ছাড়ার পথে। আলোচনা চলছে বাংলাদেশ দলের নির্বাচক প্যানেল নিয়েও। পরিবর্তন আসতে পারে সেখানে। শোনা যাচ্ছে, ভরাডুবির কারণে মিনহাজুল আবেদিন নান্নুর নেতৃত্বাধীন নির্বাচক প্যানেলকে কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে এখন। এদিকে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হচ্ছে নান্নুর চুক্তির মেয়াদ। জানা গেছে, নতুন করে তার চুক্তির মেয়াদ আর বাড়াবে না বিসিবি। গুঞ্জন রয়েছে, হাবিবুল বাশার সুমনও পদ হারাতে পারেন।
তবে এ খবরও উড়ে বেড়াচ্ছে দেশের ক্রিকেটের আকাশে- নির্বাচক পদ থেকে সরিয়ে দিলেও বোর্ডেই থেকে যাচ্ছেন নান্নু। শোনা যাচ্ছে, সাবেক এই ক্রিকেটারকে দেওয়া হতে পারে অন্য কোনো দায়িত্ব। আর বাশার পদ পেতে পারেন ‘এ’ দলে। তবে এই ঝড়ের মাঝেও টিকে যেতে পারেন সর্বকনিষ্ঠ নির্বাচক আব্দুর রাজ্জাক রাজ।
নতুন নির্বাচক হওয়ার সম্ভাব্য দৌড় নিয়ে শুরু হয়ে গেছে আলোচনা। নির্বাচক হওয়ার লড়াইয়ে আছেন বেশ কয়েকজন সাবেক ক্রিকেটার। এই তালিকায় ওপরের দিকে রয়েছেন হান্নান সরকার ও হাসিবুল হোসেন শান্ত। দুজনই এখন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের নির্বাচকের দায়িত্বে রয়েছেন। বয়সভিত্তিক দলে কাজ করে সুনাম কুড়িয়ে বিসিবির আস্থা অর্জন করেছেন দুজনে। সে সুবাদে এবার জাতীয় দলের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আলোচনায় জড়িয়ে গেছেন তারা।
নতুন নির্বাচক হওয়ার লড়াইয়ে খালেদ মাসুদ পাইলটের নামে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। তবে বাংলাদেশের সাবেক এ অধিনায়ক নির্বাচক হতে আগ্রহী কি না- তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, পারিবারিক কারণে এই মুহূর্তে তার জন্য এই চাকরি করা সম্ভব নয়।
বিসিবি থেকে প্রস্তাব দিলেও এখন নির্বাচকের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে পারবেন না। এমনটা জানিয়ে পাইলট বলেন, ‘বেশ কিছু সমস্যা আছে। এই মুহূর্তে করা সম্ভব নয় আমার জন্য। প্রস্তাব এলেও করাটা হয়ে উঠবে না। কারণ আমার মা অসুস্থ, বেশিরভাগ সময় আমার রাজশাহীতে থাকতে হয়। এটাই কারণ, কেননা সিলেক্টর একটা গুরুত্বপূর্ণ চাকরি। সারাক্ষণ মাঠে মাঠে সময় দিতে হবে। মায়ের পাশে থাকার কারণে সময় বের করা কঠিন হয়ে যাবে।’
পদটা নির্বাচক বলেই কি আগ্রহী নন? এটাই কি কারণ। পাইলটের উত্তর, ‘অবশ্যই এটা অনেক সম্মানের চাকরি। কিন্তু এই মুহূর্তে সম্ভব না, সিলেক্টরের চাকরি হয়তো ১০ বছর পরেও পেতে পারি। কিন্তু মাকে তো আর পাব না।’
নতুন নির্বাচক হিসেবে কাদের দেখতে চান? এমন প্রশ্নে পাইলটের জবাব, ‘দেখতে চাই অবশ্যই যে মাঠে মাঠে খেলা দেখবে। ক্রিয়েটিভ লোক চাই, আইডিয়া থাকতে হবে। কোথা থেকে আনতে হবে খেলোয়াড় কষ্ট করবে এমন। সৎ থাকবে দেশের জন্য এমন লোক চাই।’