প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৬ নভেম্বর ২০২৩ ১১:১৬ এএম
আপডেট : ১৬ নভেম্বর ২০২৩ ১১:১৬ এএম
প্রত্যেক বিশ্বকাপে তারা অভিযান শুরু করে ফেভারিট হিসেবে। অথচ ট্রফি আর দক্ষিণ আফ্রিকার দূরত্ব যেন ঘোচার নয়! বলা হয়, বিশ্বকাপ না জেতা সেরা দল প্রোটিয়ারা। ১৯৯২ সালে প্রথমবার ৫০ ওভারের বিশ্বমঞ্চে প্রবেশ করেই সেমিতে পৌঁছায় তারা। তারপর সাতবার নক আউটে ওঠে। ফাইনালে খেলা হয়নি একবারও। বড় মঞ্চে লাগাতার ব্যর্থতার জেরে চোকার্স দুর্নাম সেঁটে গিয়েছে গায়ে। সেই তকমা দূর করাটাও চ্যালেঞ্জ দক্ষিণ আফ্রিকার।
আজ বৃহস্পতিবার ইডেন গার্ডেনসে প্রোটিয়াদের সুযোগ এসেছে চোকার্স তকমা ঘোচানোর। বদলা নেওয়ার পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে পারলেই ইতিহাস গড়বেন টেম্বা বাভুমারা। নচেৎ আরেকটি স্বপ্নের অপমৃত্যু। এবার অনেক কিছুই অন্যরকম ঘটেছে বলে প্রোটিয়াদের ফাইনালে দেখছেন অনেকে।
শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ২০২৩ বিশ্বকাপের যাত্রা শুরু হয় দক্ষিণ আফ্রিকার। মাঝখানে উত্থান-পতন। বড় সংগ্রহের দেখা যেমন মিলেছে, পুচকে নেদারল্যান্ডসের কাছে মাথা নত করতেও দেখেছে। লিগ পর্বে যতবারই প্রথমে ব্যাটিং করেছে, প্রতিবারই রানপাহাড়ে চড়েছে প্রোটিয়ারা। আর রান তাড়া করতে নেমে কোণঠাসা হয়েছে।
নট আউট পর্বে দক্ষিণ আফ্রিকার দুর্ভাগ্য শুরুটা ১৯৯২ বিশ্বকাপ দিয়ে। সেবার বৃষ্টি আইনে ১ বলে ২২ রান লক্ষ্য দাঁড়ায় প্রোটিয়াদের। ১৯৯৬ বিশ্বকাপে তাদের যাত্রা থামে কোয়ার্টার ফাইনালে। ১৯৯৯ বিশ্বকাপের সেমিতে অজিদের কাছে ধরাশায়ী হয়ে চোকার্স দুর্নামটা গাঢ় হয় প্রোটিয়াদের। মাঝের ২০০৩ বিশ্বকাপে নিজেদের মাটিতে ফের বৃষ্টি আইনে কপাল পুড়ে। সবশেষ ২০১৫ ও ২০১৯ সালের আসরেরও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। ২০১৫ সালে নিউজিল্যান্ড এবং ২০১৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে সেমিতে আটকা পড়ে।
বৈশ্বিক আসরে দুবারের মুখোমুখিতে একবার অজিদের হারাতে পারেনি প্রোটিয়া। স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠেছে, আজ বাভুমারা বদলা নিয়ে ইতিহাস বদলাতে পারবেন তো?