প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৬ নভেম্বর ২০২৩ ০১:৪২ এএম
টাইমড আউট বিতর্কের রেশটা যেন এখনও তরতাজা। এ নিয়ে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসকে টাইমড আউট করে সাকিব আল হাসানকে কম কথা শুনতে হয়নি। তার পক্ষেও এসেছে মত। হেলমেট বদলের সময় চেয়ে আম্পায়ারের কাছে সময় না চেয়ে ভুল করে কথা শুনেছেন ম্যাথুসও। সেই বিতর্কের রেশ থাকতেই আর একটি নতুন বিতর্ক এসে হাজির বিশ্বকাপে। এবার বিতর্ক পিচ বদলের।
মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে গতকাল ভারতের বিপক্ষে প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল নিউজিল্যান্ড। এই ম্যাচ ঘিরেই পিচ বদলের অভিযোগ উঠেছে ভারতের বিরুদ্ধে। আইসিসির অনুমতি না নিয়েই ম্যাচের উইকেট বদলে ফেলেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই), এমনই একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে হইচই ফেলে দিয়েছিল ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো। তারা আশঙ্কা প্রকাশ করছে, ভারত ফাইনালেও একই কাজ করতে পারে।
সেমিফাইনালটি প্রাথমিকভাবে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের ৭ নম্বর পিচে হওয়ার কথা ছিল। সাধারণত এরকম টুর্নামেন্টের আগে আইসিসি আয়োজক দেশটির সঙ্গে কথা বলেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। সে মোতাবেক এই মাঠের পিচও আগেই ঠিক করা ছিল। যদিও আইসিসিকে পাত্তা না দিয়ে শেষ মুহূর্তে ভারত তাদের ইচ্ছামতো পিচ বদলে ফেলেছে। খেলা হয় ৬ নম্বর পিচে। যেখানে চলতি বিশ্বকাপের দুটি ম্যাচ হয়েছিল আগে। খবর রটেছিল ভারতের স্পিনাররা যাতে পিচ থেকে সাহায্য পান সেজন্য এটা করা হয়েছে। পিচের ঘাসও নাকি কাটিয়েছেন রোহিতরা।
এবারের বিশ্বকাপে পিচ নির্বাচন, সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায়িত্বভার সামলান আইসিসির স্বাধীন পিচ পরামর্শক অ্যান্ডি অ্যাটকিনসন। তার ফাঁস হওয়া ই-মেইল থেকে জানা যায়, তিনি অনুমান করছেন যে রবিবার আহমেদাবাদে ফাইনালের জন্য পিচটিও আইসিসি অনুমোদিত পিচে হবে না। এটি এমন একটি পিচ, যা স্বাগতিক বোর্ডের চাওয়া অনুসারে বিশেষভাবে বেছে নেওয়া হয়েছে এবং প্রস্তুত করা হয়েছে।
বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ায় আইসিসি এক বিবৃতিতে অভিযোগ উড়িয়ে দেয়, ‘এই ধরনের প্রতিযোগিতার শেষদিকে পিচে বদল স্বাভাবিক ব্যাপার। আগেও এই ঘটনা দেখা গেছে। আয়োজক দেশের যে মাঠে খেলা হচ্ছে, সেই মাঠের পিচ প্রস্তুতকারকের পরামর্শে বদল হতে পারে। আইসিসির পিচ প্রস্তুতকারককে এই বিষয়ে জানানো হয়েছে। পিচ বদল হলে যে সেই পিচে খেলা ভালো হবে না তার কোনো কারণ নেই।’
২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল দুটি ওল্ড ট্র্যাফোর্ড এবং এজবাস্টনের নতুন পিচে খেলা হয়েছিল। কিন্তু গত বছর দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলা হয়েছিল ব্যবহৃত পিচে। একটি অ্যাডিলেড ওভালে, অন্যটি সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে।