প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৬ নভেম্বর ২০২৩ ০১:১২ এএম
ব্যাটে ঝলক দেখালেন বিরাট কোহলি। দ্যুতি ছড়িয়ে পেলেন আরও একটি সেঞ্চুরি। ব্যাটের চওড়া হাসিতে ছাড়িয়ে গেছেন শচীন টেন্ডুলকারকে। ভারতীয় ক্রিকেট কিংবদন্তির ৪৯ ওয়ানডে সেঞ্চুরির রেকর্ড ভেঙে ফেলেছেন কোহলি। গড়েছেন নতুন রেকর্ড। ৫০তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে নতুন ইতিহাস লিখেছেন ভারতের সাবেক এ ক্যাপ্টেন।
মুম্বাইয়ে ১১৭ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন কোহলি। তার ১১৩ বলের ইনিংসে ছিল ৯ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কার মার। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম সেমিফাইনালে কোহলির সঙ্গে গতকাল শতক পেয়েছেন শ্রেয়াস আইয়ারও।
এর আগে লিগ পর্বে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কোহলি আদায় করেন শতক। জন্মদিনে জাদুকরী তিন অঙ্কের দেখা পেয়ে ছুঁয়ে ফেলেছিলেন শচীন টেন্ডুলকারের ৪৯ সেঞ্চুরির রেকর্ড। এবার মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়েতে ভারতীয় ক্রিকেট ঈশ্বরকে গেলেন ছাড়িয়ে। গ্যালারিতে বসে খেলা দেখছিলেন শচীন টেন্ডুলকার।
কোহলির সেঞ্চুরি হতেই তাকে হাততালি দিয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন লিটল মাস্টার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক পোস্টে শচীন লিখেছেন, ‘তোমাকে যখন আমি প্রথম ভারতের ড্রেসিংরুমে দেখেছিলাম, সেদিন অন্য সতীর্থরা মজা করে তোমাকে আমার পা ছুঁতে বাধ্য করেছিল। আমি সেদিন হাসি থামাতে পারিনি। কিন্তু খুব দ্রুতই তুমি তোমার একাগ্রতা আর দক্ষতা দিয়ে আমার হৃদয় স্পর্শ করেছ। আমি খুবই খুশি যে সেদিনের তরুণ ছেলেটা আজ ‘বিরাট’ খেলোয়াড়ে পরিণত হয়েছে।’
শচীন আরও যোগ করেন, ‘একজন ভারতীয় আমার রেকর্ড ভেঙেছে, এরচেয়ে অন্য কিছুতে আমি খুশি হতে পারতাম না। এবং সেটাও বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের সবচেয়ে বড় মঞ্চে। আর আমার ঘরের মাঠে (এমন কিছু) তাতে পূর্ণতা দিয়েছে।’
কোহলি রেকর্ডটা ভাঙতে পারতেন আরও আগে। এবারের বিশ্বকাপেই একাধিকবার সুযোগ এসেছিল কোহলির সামনে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেই গ্রুপ পর্বে খেলেছিলেন ৯৫ রানের ইনিংস। সেদিন হয়নি শেষের দিকে মনোসংযোগ হারানোর কারণে। সুযোগ ছিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচেও। সেদিনও মুম্বাইয়ের এই মাঠেই শতকের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন কোহলি। তবে শেষ পর্যন্ত ওটা আর হয়নি। ৮৮ রানে থামতে হয় তাকে।
সেঞ্চুরির পথে আরও একটি রেকর্ড গড়েছেন কোহলি। ২০০৩ সালে শচীন টেন্ডুলকার এবং ২০১৯ সালে সাকিব খেলেছিলেন ৭টি পঞ্চাশ ছাড়ানো ইনিংস। কোহলি টপকে গিয়েছেন তাদের সেই রেকর্ডও।
বিশ্বকাপের এক আসরে সর্বোচ্চ রানের মালিক এতদিন ছিলেন শচীন। ২০০৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় তার ব্যাট থেকে এসেছিল ৬৭৩ রান। কোহলি ছাড়িয়ে গেলেন এই মাইলফলকও। এই ম্যাচের আগে কোহলির রান ছিল ৫৯৪। শতরানের পর এখন কোহলি আছেন ৭১১ রানে।