প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৪ নভেম্বর ২০২৩ ২২:০৫ পিএম
রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলিদের ডানায় ভর করে উড়ছে ভারত। অপ্রতিরোধ্য দলটি বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম দাবিদার। তাদের পক্ষেই ‘বাজি’ সবার। তবে অনিশ্চিয়তার ঘেরাটোপের ক্রিকেটে যেকোনো মুহূর্তে অঘটন ঘটতে পারে। তাই ম্যান ইন ব্লুদের সতর্ক করে দিয়েছেন ১৯৮৩ সালের শিরোপাজয়ী দলের সদস্য সৈয়দ কিরমানি।
লিগ পর্বে শতভাগ পাস। সংগ্রহকারীদের শীর্ষে দলের বেশিরভাগ তারকা। রেকর্ড ভাঙাগড়া হয়ে উঠেছে ডাল-ভাত। তারপরও রোহিতদের আত্মতৃপ্তিতে না ভোগার ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছেন কিরমানি। তিনি মনে করেন, ১৯৮৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ভারতকে তাচ্ছিল্যের চোখে দেখেছিল। তারই খেসারত দিয়েছিল দুবারের চ্যাম্পিয়নরা। সে সময়ের ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতোই এবারের ভারতও দুর্দান্ত। তারা চ্যাম্পিয়নের মতোই খেলছে। রোহিতরা শিরোপার যোগ্য দাবিদার। কিন্তু গৌরবময় অনিশ্চয়তার কারণে চাইলেও নিশ্চয়তা দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ, ভারতকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো মোটেও ভুল করা যাবে না।
১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপে ‘আন্ডারডগ’ হিসেবে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি করে ভারত। সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডকে ধসিয়ে দেয়। আর ফাইনালে মাত্র ১৮৩ রান তুলেও ৪৩ রানে জিতে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে চুমু আঁকেন কপিল দেবরা।
ভারতের ১৯৮৩ সালের দলের সঙ্গে ২০২৩ সালের দলের সবচেয়ে বড় মিলÑ ভয়ংকর বোলিং আক্রমণ। বিখ্যাত ক্রীড়া সাংবাদিক আয়াজ মেমন মনে করেন, সবাই ভেবেছিল ভারতের ফ্ল্যাট উইকেটে ব্যাটাররা ধ্বংসলীলায় মাতবে। কিন্তু বোলাররাও কম যায়নি। তার মতে, ভারতের বোলাররা কখনোই বিখ্যাত ছিল না। তারপরও তাদের হার না মানা পারফর্ম মনে করিয়ে দেবে, ব্যাটাররা আপনাকে ম্যাচ জেতাবে কিন্তু টুর্নামেন্ট জেতাবে বোলাররা।
বিশ্বকাপে রান সংগ্রাহকের তালিকায় শীর্ষে কোহলি। সেরা পাঁচে আছেন রোহিত শর্মাও। বোলিংয়ে সেরার দৌড়ে আছেন জাসপ্রিত বুমরাহ। আসরের ইনিংস সেরা বোলারও ভারতের। শামি যে কতটা দুর্ধর্ষ তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন ব্যাটাররা। এমন একটি দলকে নিয়ে বাজি ধরতেই পারেন ভক্তরা। তবে গন্তব্যে পৌঁছতে মন্তব্যকে প্রাধান্য না দিয়ে লক্ষ্যে চোখ রাখার পরামর্শ দিয়েছেন কিংবদন্তিরা।