প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৪ নভেম্বর ২০২৩ ১৬:২৪ পিএম
রোহিত শর্মারা একজন যেন অন্যজনকে ছাপিয়ে যাওয়ার লড়াইয়ে নেমেছেন। ভারতও পাচ্ছে একের পর এক সাফল্য। কোহলিরা রানবন্যা ছোটাচ্ছেন, নিজেদের অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছেন শামি-বুমরাহরা, সুযোগ পেলেই খেল দেখাচ্ছেন জাদেজা-কুলদীপরা। বিশ্বকাপে এখন অবধি অপরাজিত স্রেফ রোহিত শর্মার দলই। দল হিসেবে খেলা ভারত গ্রুপ পর্বের লড়াইয়ে কোনো প্রতিপক্ষকে স্রেফ গুঁড়িয়ে দিয়েছে, কাউকে লড়াই করার জায়গাটুকুও দেয়নি। অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড কিংবা সেমির টিকিট নিশ্চিত করা আরেক দল দক্ষিণ আফ্রিকানদেরও পাত্তা দেয়নি। অপ্রতিরোধ্যদের এত সাফল্যের নেপথ্যে কী?
ভারতের অধিনায়কের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, কোন ছকে এগোচ্ছে ভারত। নয় ম্যাচের নয়টিতে জিতে শীর্ষে থাকা রোহিত বলছেন ড্রেসিরুমে সহাবস্থানের কথা, ‘দলের প্রত্যেকে পরস্পরের সঙ্গ উপভোগ করছি। এমনকি মাঠেও হালকা মেজাজে থাকি। আসলে ড্রেসিংরুমে দারুণ পরিবেশ রাখতে চাই। ওখানের পরিবেশ ভালো হলে পারফরম্যান্স ভালো হয়। এটাই স্বাভাবিক।’
শীর্ষে থাকা ভারত সবার আগে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে তাদের বাধা এবার নিউজিল্যান্ড। গ্রুপ পর্বে কিউইদেরও জিততে দেননি কোহলি-শামিরা। ঘরের মাটির বিশ্বকাপে অন্যদের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাওয়াই নয়, ভারত জিতছে প্রায় সব প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে। ব্যাট করতে নামার পর শুরুটাও এসেছে দুর্দান্ত। মিডল অর্ডারে ছিল নির্ভরতা। বল করতে এসে বুমরাহ, সিরাজ, শামি, জাদেজা ও কুলদীপ দেখিয়েছেন নিজেদের সেরাটা। একের পর এক জয় তুলেছে ভারতও।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৬ উইকেটের জয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করেছিল ভারত। এরপর থেকে পরপর জয়। লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে ১৬০ রানে হারিয়েছে স্বাগতিকরা। রোহিত তাই যারপরনাই খুশি, ‘একটা একটা করে ম্যাচ ধরে এগোচ্ছিলাম। জানতাম খুব লম্বা প্রতিযোগিতা। বেশি দূরের কথা ভাবলে জেতা যাবে না। তাই একটা করে ম্যাচের দিকে নজর দিচ্ছিলাম। আলাদা আলাদা দলের বিপক্ষে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে খেলতে হয়েছে। এটা বড় চ্যালেঞ্জ। পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে হয়েছে। সেটা পেরেছি। আমি খুশি ৯টা ম্যাচই জিততে পেরে।’
দলগত সাফল্যই ভারতের জয়ের নেপথ্যে। রোহিতরা সেই কারণটি আরও দুটি ম্যাচ টেনে নিয়ে যেতে চান। ২০১১ সালের পর আরেকটি বিশ্বকাপ ঘরে রেখে দিতে বদ্ধপরিকর অপ্রতিরোধ্য ভারত।