প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৩ নভেম্বর ২০২৩ ০৯:৫৯ এএম
আপডেট : ১৩ নভেম্বর ২০২৩ ১২:৫৭ পিএম
অস্ট্রেলিয়াকে রেকর্ড গড়ার চ্যালেঞ্জ ছুড়েও ‘রান কম হওয়া’র আক্ষেপে পুড়ে শেষ হয় বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশন। বিদায়ি ম্যাচে হারের ব্যাখ্যায় অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্ত যেন পুরো আসরের ঘটনাপ্রবাহ সামনে আনেন। শুরুর মতো শেষে রান না ওঠা কিংবা ব্যাটারদের ব্যর্থতার পরতে পরতে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের স্বপ্নের মৃত্যু লেখা। ৯ ম্যাচে শুধু একটিতে তিনশোর্ধ্ব রান তুলতে পারেন সাকিবরা। টপ অর্ডার ও মিডল অর্ডারের ব্যাটাররা ছিলেন কার্যত ব্যর্থ। ওপেনার লিটন কুমার দাস ছাড়া কেউই নামের সুবিচার করতে পারেননি।
বিশ্বকাপের দুই-তিন সপ্তাহ আগেও যে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে বাতিলের খাতায় রাখা হয়েছিল তিনিই এ আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। একমাত্র সেঞ্চুরিটিও এসেছে তার ব্যাট থেকে। ব্যাটিং গড়, স্ট্রাইক রেট এবং সর্বোচ্চ ছক্কার তালিকাতেও সেই ‘বাদ পড়া’ রিয়াদ। ৭ ইনিংসে ৫৪.৬৬ গড় ও ৯১.৬২ স্ট্রাইক রেটে ৩২৮ রান তার রেকর্ড বুকে। দেশের আর কোনো ব্যাটসম্যান ৩০০ রানও করতে পারেননি। ব্যাটিং গড়েও দলে তার ধারেকাছে নেই কেউ। একই সঙ্গে প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে টানা দুই বিশ্বকাপে ৩০০-এর বেশি রান সংগ্রাহক ৩৭-বর্ষী এ ব্যাটার। প্রবল প্রতিকূলতা ও প্রচণ্ড চাপের মধ্যেও রিয়াদ যেভাবে পারফর্ম করেছেন তা এককথায় অতুলনীয়।
ব্যর্থ মিশনে নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে না পারলেও টাইগারদের দ্বিতীয় রান সংগ্রাহক লিটন। ৯ ম্যাচে ২৮৪ রান তার। এ আসরেই তামিম ইকবালকে ছাড়িয়ে ওপেনার হিসেবে আইসিসি ইভেন্টে এক আসরে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েন তিনি। তিন নম্বর পজিশনে নাজমুল হোসেন শান্ত। বাঁহাতি ব্যাটার আসরে ৯ ম্যাচ খেলে করেন ২২২ রান। দুই অর্ধশতক এসেছে বাংলাদেশের সহ-অধিনায়কের ব্যাট থেকে। তালিকার চার নম্বরে মুশফিকুর রহিম। ৯ ইনিংসে উইকেটরক্ষক ব্যাটারের ব্যাট থেকে আসে ২০২ রান। পাঁচ নম্বরে অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ। বল হাতে যৌথভাবে সর্বোচ্চ উইকেট তোলা এই অলরাউন্ডার করেন ২০১ রান। ৭ ইনিংসে ব্যাট করে নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান করেন ১৮৬ রান। ইনজুরির কারণে খেলতে পারেননি দুই ম্যাচ।
ব্যাটার ম্যাচ রান
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৭ ৩২৮
লিটন দাস ৯ ২৮৪
নাজমুল হোসেন শান্ত ৯ ২২২
মুশফিকুর রহিম ৯ ২০২
মেহেদি হাসান মিরাজ ৯ ২০১