প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১২ নভেম্বর ২০২৩ ০১:৪৭ এএম
আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২৩ ০১:৪৭ এএম
পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে দারুণ শুরু এনেছিল বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে টপ অর্ডারদের দিনে মিডল অর্ডাররা অবশ্য শেষটা রাঙাতে পারেননি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তবুও এসেছিল তিনশ ছাড়ানো সংগ্রহ। তারপরও ‘রান কম’ হওয়ার আক্ষেপ ঝরেছে নাজমুল হোসেন শান্তর কণ্ঠে। বাংলাদেশের অধিনায়ক আফসোস করেছেন দুটি রান আউট নিয়েও।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিকে পাখির চোখ করা বাংলাদেশ যখন বড় রানের পথে হাঁটছে, তখন শান্ত এবং মাহমুদউল্লাহ রান আউটের ফাঁদে পড়েন। দুজনেই ছিলেন সেট ব্যাটার। রান বাড়িয়ে নেওয়ায় তাতেই পড়ে ছেদ। গতকাল শান্তও সেটিই বলেছেন, ‘আমার মতে রান আউট দুটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। যেভাবে শুরু করেছিলাম তা সত্যি দারুণ, কিন্তু ওই দুটি আউট আমাদের মোমেন্টাম ভেঙে দেয়। যদি স্কোরবোর্ডে ৩৪০-৩৫০ রান আনতে পারতাম তাহলে ফল ভিন্ন হতে পারত।’
অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটাররা তাদের বিশ্বকাপ ইতিহাসে রেকর্ড রান তাড়া করে জিতেছেন স্পিনাররা ঠিকঠাক কাজ করতে না পারায়। শান্ত তাই দায় দেখছেন বোলারদের, ‘মাঝের ওভারগুলোতে আমরা ভালো বোলিং করিনি। পেসাররা দারুণ ছিলেন।’
সাকিবের বদলে নেতৃত্বের আর্মব্যান্ড পরা শান্ত নিজেদের বাজে বিশ্বকাপের কথাও বলেছেন। নয় ম্যাচের সাতটিতে হেরে বিদায় নেওয়া দল ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন বুনছে বলেও জানিয়েছেন শান্ত।
আগে থেকেই আলোচনায় আছে বাংলাদেশ দলের নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক ইস্যু। সাকিবের রেখে যাওয়া স্থানে কে হবেন অধিনায়ক তা নিয়ে আছে নানা খবর, আছে নানা সম্ভাবনা।
গতকাল শেষ হয়েছে বাংলাদেশের ব্যর্থ বিশ্বকাপযাত্রা। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। সেখানে তার কাছে জানতে চাওয়া হয় পূর্ণ মেয়াদে দায়িত্ব পেলে অধিনায়কত্ব করবেন কি না।
জবাবে শান্ত বলেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরেই তো করছি (অধিনায়কত্ব)। আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে মনে হচ্ছে আমি প্রস্তুত। যদি সুযোগ আসে তাহলে এটা ভালোভাবে করার জন্যই প্রস্তুত।’ অধিনায়কত্ব নিয়ে শান্ত আরও বলেন, ‘অধিনায়কত্বের ব্যাপার যেটা বললেন দুই ম্যাচেই জিততে পারিনি। কিন্তু অনেক কিছু শেখার ছিল, দুই বড় দলের বিরুদ্ধে চাপ ছিল। আমার মনে হয় অনেক কিছু শিখতে পেরেছি এবং এটা ভবিষ্যতে কাজে দেবে।’
এবারের বিশ্বকাপের যাত্রায় লিগ পর্বের দুই ম্যাচ এবং ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন শান্ত। তবে অধিনায়ক হিসেবে তার অভিজ্ঞতা মোটেই সুখকর নয়। তিন ম্যাচের সবকটিতেই হারের মুখ দেখেছেন তিনি। নিজেও ব্যাট হাতে অধিনায়ক-সুলভ কোনো ইনিংস উপহার দিতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত টাইগার ক্রিকেটে কে হবেন নতুন অধিনায়ক, তা জানার জন্য কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে।