প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৮ নভেম্বর ২০২৩ ২২:১৩ পিএম
আপডেট : ০৮ নভেম্বর ২০২৩ ২২:২৫ পিএম
বিশ্বকাপ থেকে আগেই ছিটকে পড়েছিল। তবুও বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের ভাবনায় পূর্ণ দুই পয়েন্ট। আরও স্পষ্ট করে বললে, পাকিস্তানে বসতে যাওয়া চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে জায়গা পেতে নিজেদের শেষ দুই ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই ইংলিশদের। বুধবার নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচটি জস বাটলারদের জন্য ছিল বাঁচা-মরার, একই সঙ্গে হারের বৃত্ত ভাঙারও। এমন সমীকরণে নেমে ডাচদের বিপক্ষে ১৬০ রানে জয় পেয়েছে ইংল্যান্ড। তলানি থেকে একলাফে টেবিলের সাতে উঠেছেন জস বাটলাররা। আর বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়েছে নেদারল্যান্ডসের।
পুনে মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাটিং করে ৩৩৯ রান সংগ্রহ করে ইংল্যান্ড। জবাবে নেমে ১৭৯ রানে থেমে যায় নেদারল্যান্ডস। ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেন বেন স্টোকস। তার বিধ্বংসী ৮৪ বলে ১০৮ রানের ইনিংসে বড় স্কোর পায় দল। পরে বল হাতে ঘূর্ণিজাদু দেখান মঈন আলি ও আদিল রশিদ। দুজনে তিনটি করে উইকেট নেন।
যেকোনো মূল্যে জয় চাই। এমন সমীকরণ নিয়ে মাঠে নামে ইংল্যান্ড। শুরুতে বেশ সাবধানী হলেও ইনিংসের ৪৮ রানে ফেরেন ওপেনার জনি বেয়ারস্টো (১৫)। সেট হয়ে ফেরেন জো রুটও (২৮)। তৃতীয় উইকেটে ডেভিড মালান আর জো রুটের দারুণ এক জুটির পর পথ হারাচ্ছিল ইংল্যান্ড।
জস বাটলারের কাছে তখন ভালো একটা ইনিংস চাচ্ছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু কিসের কী! ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুরপাক খাওয়া এই ব্যাটার যেন ব্যাটিংটাই ভুলে গেছেন। ৫ রান করে ফেরেন প্যাভিলিয়নে। বাইশ গজে ১২ মিনিটও টিকতে পারেননি। আসরজুড়ে দলের মতো যেন নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন অধিনায়ক। তবে ঠিকই ইংলিশদের খাদের কিনারা থেকে টেনে তুলেন স্টোকস।
অনবদ্য ব্যাটিংশৈল্য দেখান। স্টোকস শুধু সেঞ্চুরিই করেননি, দলকে বড় সংগ্রহও এনে দেন। যদিও শেষের দিকে ক্রিস ওকসের ৫১ রানের ঝরঝরে পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস ছিল চোখের শান্তি। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ৩৩৯ রান তুলে ইংল্যান্ড।
এদিন স্টোকস ব্যাটিংয়ে নামেন ২১তম ওভারে। ১০৮ রান করে যখন ফেরেন, তখন বাকি ইনিংসের দুই বল। ৮৪ বলে সমান ৬ চার ও ৬ ছক্কায় ডাচ বোলারদের ভালোই পরীক্ষা নেন স্টোকস। গত ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেঞ্চুরির পথে হেঁটে থামেন ৬৪ রানে। তবে পুনে তাকে হতাশ করেনি। দলের বিপর্যয়ের দিনে ত্রাণকর্তা হিসেবে নিজেকে জাহিরের সুযোগ কাজে লাগান।
নেদারল্যান্ডসের হয়ে অলরাউন্ডার বাস ডি লিড সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট সংগ্রহ করেন। আরিয়ান দত্ত ও লগান ভেন বিক পান দুটি করে উইকেট।
জবাবে নেমে শুরুতেই ম্যাক্স ও’ডাউডকে শিকার বানান ক্রিস ওকস। দলীয় ১২ রানে তাকে ফেরান তিনি। এরপর এক রান যোগ হতেই কলিন অ্যাকারম্যানকে ফেরান উইলি। তৃতীয় উইকেটে সাইব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখ্টকে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন ওয়েসলি বারেসি। কিন্তু না, রান আউটে কাটা পড়ে দলের বিপদ বাড়ান বারেসি। শেষ পর্যন্ত তেজা নিদামানুরু চেষ্টা করেছিলেন দলের হাল ধরতে। ইনিংসের শেষ পর্যন্ত ওয়ানম্যান আর্মির মতো টিকেছিলেন। অর্ধশতক থেকে ৯ রান দূরত্বে থাকতেই সতীর্থরা মাঠ ছাড়েন। তেজা নিদামানুরুর মতো লড়াই করে ব্যর্থ হন অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডসও। ৩৮ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।