প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০২৩ ০৭:৪২ এএম
দিল্লির সঙ্গে বায়ুদূষণ যেন ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ভারতের বিপক্ষে ২০১৭ সালে একবার মাঠেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন শ্রীলঙ্কার একাধিক খেলোয়াড়। ২০১৯ সালে দূষিত বাতাসের কবলে পড়ে অস্বস্তিতে ভুগেছিল বাংলাদেশ দলও। চার বছরেও কমেনি সেই অস্বস্তি। দিল্লিতে এবার সেটি রূপ নিয়েছে শঙ্কায়। আগামীকাল সোমবার এখানেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচ বাংলাদেশের, সেই ম্যাচ সামনে রেখে অনুশীলনও করতে পারেননি সাকিবরা। বৈরী আবহাওয়ায় খেলা গড়ানো নিয়েও জেগেছে শঙ্কা।
পাকিস্তানে বসতে যাওয়া চ্যাম্পিয়নস ট্রফির জায়গা নিশ্চিতে কঠিন সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন টাইগাররা। টানা হারের বৃত্তে থাকা বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ শীর্ষ আটে থাকার। বিশ্বকাপে বাকি থাকা দুটি ম্যাচ থেকেই বের করে আনতে হবে টেবিলে উন্নতির জ্বালানি। জিততেই হবে এমন ম্যাচে দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে লঙ্কানদের পাশাপাশি সাকিবদের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে থাকছে দূষিত বাতাস। শহরের আবহাওয়া এতটাই নাজুক যে, স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডেও পড়েছে বাধা। খেলোয়াড়দের রুম ছেড়ে বের হতেও নিষেধ করা হয়েছে।
একিউআই (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স) অনুযায়ী, কোনো অঞ্চলের বায়ুদূষণের মাত্রা ৩০০ বা তার বেশি হলেই সেই অঞ্চলের বাতাসকে জনসাধারণের জন্য ভীষণরকম ক্ষতিকর বলে ধরে নেওয়া হয়। দিল্লিতে বায়ুদূষণের মাত্রা এখন ৪০০ ছাড়িয়েছে। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় দিল্লির একিউআই ছিল ৮৯০। এটা খুবই বিপজ্জনক পর্যায়ের। বিষয়টি তাই পর্যবেক্ষণ করছে আইসিসিও।
দিল্লির বায়ুদূষণের মধ্যে স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়েও খেলা হবে— আইসিসির একজন মুখপাত্র ক্রিকইনফোকে বলেছেন, ‘আইসিসি এবং আমাদের আয়োজক বিসিসিআই সব দলের স্বাস্থ্য গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। দিল্লির বায়ুদূষণের মাত্রার দিকে নজর রাখছে। এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিচ্ছি।’
গত বৃহস্পতিবার বায়ুদূষণের কারণে জরুরি অবস্থা জারি করা হয় দিল্লিতে। বন্ধ ঘোষণা করা হয় স্কুল, কলেজ এবং বেশ কিছু অফিস। বাংলাদেশ দলও পরশু বাতিল করে অনুশীলন। গতকাল দুপুরে অনুশীলন সেশন বাতিল করে শ্রীলঙ্কাও। পূর্বাভাস যদিও আশার কিছু বলছে না, আগামী দুই বা তিন দিনের মধ্যে অবস্থার উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে যেমন ম্যাচ বন্ধ বা বাতিল করা হয় তেমনি দূষণের মাত্রা বেশি হলে ম্যাচ পরিত্যক্ত বা বাতিলের মতো সিদ্ধান্ত নিতে পারে। শেষ পর্যন্ত সেটি হলে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আরও কঠিন হয়ে দাঁড়াবে সাকিবদের শীর্ষ আটে ওঠার সমীকরণ।