প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০২ নভেম্বর ২০২৩ ২০:০৫ পিএম
আপডেট : ০২ নভেম্বর ২০২৩ ২০:১৯ পিএম
কুড়ি বছর আগে অর্থাৎ ২০০৩ সালের বিশ্বকাপে সব ম্যাচ হেরেছিল বাংলাদেশ। এবারও সাকিব আল হাসানদের পারফরম্যান্স মনে করিয়ে দিচ্ছে সেই দুঃসহ অভিজ্ঞতা। দলের বাজে পারফরম্যান্স নানা আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিচ্ছে। কেন বাংলাদেশের টানা ব্যর্থতা, ক্রিকেটাররা কেনইবা নিজেদের মেলে ধরতে পারছেন না—এসবে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি বিশ্লেষকদের। ভারতের সাবেক পেসার ইরফান পাঠান মনে করেন, মাঠের বাইরের সমস্যা ডোবাচ্ছে বাংলাদেশকে।
সবশেষ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭ উইকেটে পরাজিত হয় বাংলাদেশ। ১৭.৩ ওভার হাতে রেখেই সাকিবদের ২০৪ রান পার করে পাকিস্তান। ফলে বিশ্বকাপে পথচলা শেষ হয় বাংলাদেশের। দুই ম্যাচ হাতে থাকা সাকিবদের লক্ষ্য এখন আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে কোয়ালিফাই করা।
বাংলাদেশের এমন ভঙ্গুর দশা দেখে স্টার স্পোর্টসে নিজের বিশ্লেষণে ইরফান বলেন, ‘এটাকে বাংলাদেশের ক্রিকেটের বড় পতন হিসেবেই দেখছি। দলে এমন নয় যে বিদেশের লিগে খেলা খেলোয়াড় নেই। মুস্তাফিজুর রহমান আছে, তাসকিন আহমেদও বিদেশের লিগে খেলেছে। মাহমুদউল্লাহ বহু বছর ধরে ক্রিকেট খেলছে। দলে বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান আছে।’
ইরফান মনে করেন, মাঠের বাইরের ব্যাপারগুলো বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দলটিতে ভালো ক্রিকেটার আছে। কিন্তু তারা একসঙ্গে পারফর্ম করতে পারছে না। এর মানে সামর্থ্যের অভাব দলের সমস্যা নয়। এই দলের অন্য সমস্যা আছে। বাংলাদেশের ক্রিকেটকে এখন মাঠ ও মাঠের বাইরে—দুই দিকের সমস্যা সমাধানেই মনোযোগী হতে হবে।
বাংলাদেশের ক্রিকেটের এই পতনের কারণ নিজেদের ভুলেই; ইরফান মনে করেন এটিই, ‘সব সময়ই বলি, বাংলাদেশের ক্রিকেট-সংশ্লিষ্টদের ভুল ও বাজে সিদ্ধান্তের কারণেই ক্রিকেট ডুবছে। তাদের মাঠের বাইরের বিভিন্ন সমস্যার কথা জানি। দলে তামিম ইকবাল নেই কেন! এই দলে অবশ্যই তার থাকা উচিত ছিল।’
বিশ্বকাপের আগে তামিম-সমস্যায় বিপর্যস্ত ছিল বাংলাদেশের ক্রিকেট। গত জুলাই মাসে বিদায় নেন ওপেনার তামিম। পরে প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধে ফেরেন। যদিও বিশ্বকাপের আগে ফের বিদায় নেন। ইরফান পাঠানের কাছে পুরো বিষয়টাই বিস্ময়, ‘এক বছর আগেও তামিম নিয়মিত রান করেছে। কিন্তু সে বিশ্বকাপ দলে নেই। সে কেন নেই! আমরা যতদূর জানি, তার নিজের জায়গায় ব্যাটিং করতে না দেওয়ার কারণেই এমনটা হয়েছে। আমি তো মনে করি, তামিমের সঙ্গে আচরণটাই ঠিক করেনি টিম ম্যানেজমেন্ট। এ কারণেই নেতিবাচক ব্যাপার সামনে চলে এসেছে।’