প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১১:৪৮ এএম
সবশেষ ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ড জিতেছে বিশাল ব্যবধানে। তাতে একটা বড় সময়ের খরাও কাটিয়ে ফেলেছে দলটি। বাংলাদেশের মাটিতে কিউইদের সবশেষ ওয়ানডে জয়টা ছিল সেই ২০০৮ সালে। এরপর ২০১০ আর ২০১৩ সালে সিরিজ খেলে গেলেও জয় পায়নি একটিও। হেরেছে টানা সাত ম্যাচে। গত শনিবারের জয়ে সেই বৃত্ত থেকে বেরিয়ে এসেছে নিউজিল্যান্ড।
এই জয়ের ফলে আরও একটা খরা কাটানোর দুয়ারেও এসে দাঁড়িয়েছে সফরকারীরা। বাংলাদেশের মাটিতে সবশেষ সিরিজ জয়টাও যে সেই ২০০৮ সালেই। আজ সিরিজের তৃতীয় ম্যাচটা জিতে সে খরাটাও কাটাতে চায় নিউজিল্যান্ড।
দলের সে অভিপ্রায়টা বোঝা গেল হেনরি নিকলসের কথা থেকে। তার ভাষ্য, ‘আমরা এখানে এসেছি সব ম্যাচ জিততে, আশা করি আমরা পারবও। আমরা জানি এখানে খেলা কেমন কঠিন, শেষ দুটি সিরিজ আমরা হেরেছি, সেটা নিয়ে আমরা ভেবেছিও। একটি দল হিসেবে আমরা কাল সুযোগ এলে সেটা লুফে নিতে চাই। এখানে সিরিজ জয়ের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে, এটা আমাদের দলের জন্য খুব ভালো সুযোগ।’
এ ম্যাচে নিউজিল্যান্ড পাচ্ছে নতুন এক বাংলাদেশকে। অধিনায়ক বদলে গেছে, দলেও এসেছে একগাদা পরিবর্তন। নাজমুল হোসেন শান্তর অধীনে নতুন বাংলাদেশকেও যথেষ্ট সমীহ করছে সফরকারীরা। সেটা অবশ্য নিজেদের অভিজ্ঞতা থেকেই। নিকলস জানালেন, তুলনামূলক কম অভিজ্ঞ কিংবা নতুনদের প্রমাণের তাড়না যে থাকে বেশ! তার কথা, ‘মোটেও নয়। গেল বছর আমাদের এ অভিজ্ঞতাটা হয়েছে, যখন তরুণরা বেশি সুযোগ পেয়েছে, আর তা লুফেও নিয়েছে।’
মিরপুরে খেলতে এলে যেকোনো দলকেই যুঝতে হয় এখানকার উইকেটের সঙ্গে। সংবাদ সম্মেলনেও এ বিষয়ক প্রশ্ন ধেয়ে আসে একাধিক। উইকেট সম্পর্কে নিকলসের অভিমত, ‘শুরুর দুই ম্যাচে উইকেট আলাদা ছিল বেশ। প্রথম ম্যাচে চ্যালেঞ্জটা বেশি ছিল, অসমান বাউন্স হচ্ছিল, অনেক বেশি স্পিন ধরছিল। দ্বিতীয় ম্যাচে আমাদের মনে হয়েছে উইকেটটা ভালো ছিল। এখানকার উইকেটে খেলার চ্যালেঞ্জই এটা, আপনি জানেন না এখানে ভালো স্কোর কত হবে।’