প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১২:৪১ পিএম
আপডেট : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৩:০০ পিএম
নিউজিল্যান্ড সিরিজে বিশ্রামে আছেন নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তার অনুপস্থিতিতে লিটন দাসের কাঁধে উঠেছে অধিনায়কের দায়িত্বভার। নিউজিল্যান্ড সিরিজের আগে ঠিকঠাক অনুশীলনের সুযোগ মেলেনি বাংলাদেশ দলের।
আরও পড়ুন : চ্যালেঞ্জ নিতে মুখিয়ে কিউইরা
ফলে অধিনায়ক লিটন দাস জানান, পরিকল্পনা যা করার করতে হচ্ছে মানসিকভাবে। এ ছাড়া নিউজিল্যান্ড সিরিজে প্রত্যাশা ও লক্ষ্য নিয়েও কথা বলেছেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে লিটন দাসের ওই কথাগুলো তুলে ধরা হলো প্রতিদিনের বাংলাদেশের পাঠকদের জন্য।
বাংলাদেশের মাঠে নিউজিল্যান্ডের দীর্ঘদিন সিরিজ না জেতা প্রসঙ্গে-
দেখেন, শেষ তিন-চার বছর ধরে যে ম্যাচগুলো খেলেছি বিশেষ করে আমাদের হোমে, ফলাফল খুবই ভালো। এটা বলব না যে ২০০৮ সালে কি হয়েছে না হয়েছে। আমাদের ওই আত্মবিশ্বাস আছে, ভালো ক্রিকেট খেললে জেতার সুযোগ থাকবে।
সিরিজ থেকে প্রত্যাশা—
অর্জনের তো অনেক কিছু আছে। আমরা যখন মাঠে নামব, তখন প্রথম জিনিস হলো জেতার জন্য মাঠে নামব। এটা বড় অর্জন। আপনি দেশের হয়ে ম্যাচ জিতবেন এটাই সবচেয়ে বড় জিনিস। আর অবশ্যই যেসব ক্রিকেটার আছে… বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতি চলছে। তো দেখা যাক কী হয়।
বিকল্প ক্রিকেটার—
এখানে স্বাভাবিক বিষয় দলে যে কজন আছে, তাদের মধ্যে একমাত্র (তাওহিদ) হৃদয় নিয়মিত ম্যাচ খেলেছে। আমিও খুব একটা নিয়মিত খেলিনি। মাঝখানে দুই ম্যাচে অসুস্থ ছিলাম। যারা খেলবে, তারা অনেকদিন ধরেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে। নাসুম ও শেখ মাহেদি খেলেছে কিছুদিন আগে। এটা একটা সুযোগ। যেহেতু সামনে বিশ্বকাপ। সবারই দেখার একটা সুযোগ।
উইকেট প্রসঙ্গে-
উইকেট সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই। যা হবে দুই দলের জন্য একই হবে।
নিজের রান না পাওয়া প্রসঙ্গে—
দেখেন, আমি চেষ্টা করছি প্রতিনিয়ত অনুশীলন করার। খুঁজে বের করার। আশা করি তাড়াতাড়ি ফিরে আসব।
নাসুম-মিরাজ প্রসঙ্গে
আমাদের প্রত্যেক বোলার ভারতের বিপক্ষে ভালো করেছে। সাকিবও প্রথম ম্যাচ খেলে দুর্দান্ত বোলিং করেছে। সব মিলে বোলিং বিভাগ নিয়ে কিছু বলার নেই। সবাই শতভাগ দেওয়ার কারণেই ম্যাচ জিতেছি।
রিয়াদ-সৌম্য প্রসঙ্গে
ভূমিকা নিয়ে আমি বলতে চাই না। পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে। যদি দ্রুত উইকেট পড়ে যায় রিয়াদ ভাই ব্যাটিংয়ে গেলে, ৩০-৩৫ ওভারের খেলা থাকলে উনি ওনার মতো করে খেলবে। এটা বলার দরকার নেই, উনি অনেক অভিজ্ঞ। একই কথা সৌম্যর ক্ষেত্রেও। যেখানেই সুযোগ পাবে, তারা রান করার চেষ্টা করবে। শুধু তারা দুজন নয়, প্রত্যেক ব্যাটারের দায়িত্ব রান করা।
রিয়াদ-তামিমের জাতীয় দলে ফেরা প্রসঙ্গে
দুজন সিনিয়র খেলোয়াড় থাকলে তো অবশ্যই সবদিক থেকে সুবিধা হয়। অনেক দিন পর তারা খেলতে এসেছেন। আমি চাই না কোনো কিছু নিয়ে তাদের চাপ দিতে। তারা খেলাটা উপভোগ করুক। বাংলাদেশের প্রতিটি ম্যাচেই উপভোগ করতে পারলে সাফল্যের সম্ভাবনা বেশি থাকে।
প্রতিপক্ষ দলের পেসার প্রসঙ্গে
যা করার মানসিকভাবে করা লাগছে, মাইন্ড গেম খেলতে হচ্ছে। দেখি কতটুকু সফল হওয়া যায়। টেকটিক্যালি তো কিছু করতে পারিনি, কিছুদিন অনুশীলন করতে পারিনি। জানি না আজও কতখানি অনুশীলন করতে পারব। হয়তো অনুশীলন ছাড়া মূল ম্যাচে খেলা লাগতে পারে। এটা মানসিকতার খেলা। ওদের স্পিনও ভালো, কোয়ালিটি স্পিনারও কিন্তু আছে।
সমালোচনা ও চাপ প্রসঙ্গে
এখন এত পরিমাণে খেলা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম দেখার মতো সময় আমাদের হাতে নেই। প্রত্যেক খেলোয়াড়েরই নেই। যে যার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ব্যস্ত থাকে, পরিবারকে সময় দেয়। আমার মনে হয় না কোনো খেলোয়াড়কে এসব প্রভাবিত করে।
বিশ্বকাপে প্রত্যাশা প্রসঙ্গে
বিশ্বকাপে প্রত্যাশা ভালো খেলা!
ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স প্রসঙ্গে
আমি যখন অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছি আমার প্রথম কাজ ম্যাচ জেতা। সবার এই লক্ষ্যই থাকে। দিন শেষে ১০০ করলে বা ৫ উইকেট পেয়ে ম্যাচ না জিতলে এটার মূল্য থাকে না। সব খেলোয়াড় পারফর্ম করতে চাইবে। এক দিনে সবাই পারফর্ম করবে না, হয়তো ১-২ জন করবে। এটাই ক্রিকেট, এটাই হয়ে আসছে, সামনেও এটাই হবে। সবাই চেষ্টা করবে; যার কপাল থাকবে, দিন থাকবে সে ভালো করবে। মূল লক্ষ্য থাকবে ম্যাচ জেতা।
প্রথম ওয়ানডের একাদশ প্রসঙ্গে
এখনও পরিকল্পনা করিনি। দেখি কোচের সঙ্গে আলোচনা করে জানাব।