প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১১:০৪ এএম
আপডেট : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১১:০৯ এএম
বিশ্বকাপের ঠিক আগে সিরিজ। তার ওপর নিয়মিত স্কোয়াডের আট ক্রিকেটার আছেন বিশ্রামে। সিরিজটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তাতেই আঁচ মিলছে। তবে বাংলাদেশের বিপক্ষে এই সিরিজটাকে মোটেও খাটো করে দেখছে না নিউজিল্যান্ড।
আরও পড়ুন : স্পিন-পেসের জমাট ক্রিকেটে শঙ্কার নাম শরতের বৃষ্টি
নিজেদের মাটিতে লিটন দাসরা সব সময়ই কঠিন প্রতিপক্ষ, বিশ্বকাপের ঠিক আগে এই চ্যালেঞ্জটা নিতে মুখিয়ে আছে নিউজিল্যান্ড- জানালেন অধিনায়ক লকি ফার্গুসন।
নিয়মিত স্কোয়াডের অধিকাংশই আছেন বিশ্রামে। তাদের পুরো মনোযোগটা বিশ্বকাপে। তবে এই বিশ্রামের বিষয়টাকে আধুনিক ক্রিকেটের অংশ হিসেবেই দেখছেন লকি।
গতকাল সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় এটা এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেরই স্বরূপ। আপনি হয়তো শেষ কয়েক বছর ধরে দেখে এসেছেন, দলগুলোতে অনেক রোটেশন হয়, কারণ আমরা অনেক বেশি ম্যাচ খেলছি এখন। কিছু খেলোয়াড় ঠিক বিশ্বকাপের আগে বিশ্রাম নিতে চায়, কেউ তারও একটু আগে। আমি তাতে কোনো সমস্যা দেখছি না, বিষয়টা বেশ ভালো।’
এই সিরিজে এমন ক্রিকেটার আছেন, যাদের সিরিজ শেষেই ফিরতে হবে নিউজিল্যান্ডে। আর বাকিরা তো বিশ্বকাপে আছেনই, তাদের মনোযোগটাও ভারতে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তবে ফার্গুসন একে দেখছেন পেশাদার দৃষ্টিকোণ থেকেই। তার কথা- ‘দেখুন, আমরা পেশাদার ক্রিকেটার, আমরা প্রত্যেকটা ম্যাচকেই গুরুত্ব দিয়ে দেখি। এটা আমাদের জন্য বড় একটা সিরিজ, বেশ চ্যালেঞ্জিং সিরিজও। আমাদের দৃষ্টিকোণ থেকে এটা বিশ্বকাপের জন্য ভালো একটা বিল্ডআপ, তবে একই সঙ্গে আমরা এই সিরিজ নিয়েও ভালোভাবেই মনোযোগী।’
বাংলাদেশের মাটিতে সবশেষ তিনটি সাদা বলের সিরিজেই হেরেছে কিউইরা। দুটো সিরিজে হয়েছে হোয়াইটওয়াশ। তাই চ্যালেঞ্জটা আঁচ করতে পারছেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক। তার ভাষ্য, ‘আমরা জানি বাংলাদেশের মাটিতে বাংলাদেশ কেমন ভালো দল। তো আমাদের জন্য তাদের মাটিতে তাদের বিপক্ষে খেলাটা বেশ ভালো একটা চ্যালেঞ্জ। আমি এই প্রথম এখানে খেলছি, তো আমার অনেক কিছু শেখার আছে। তবে ছেলেরা আগামীকাল (আজ) ম্যাচের জন্য ভালোভাবেই মুখিয়ে আছে।’
বাংলাদেশের উইকেট ঐতিহ্যগতভাবেই স্পিনারদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। তবে লকি ফার্গুসন এখানে পেসারদেরও কাজটা কম দেখছেন না। তিনি বলেন, ‘কন্ডিশন অবশ্যই আলাদা। কিন্তু আমাদের দলে যে উপমহাদেশে খেলার অভিজ্ঞতা আছে, তাতে আমরা এটা বুঝতে পেরেছি যে পেসারদের কীভাবে ভিন্ন ভূমিকায় বল করতে হবে। বিষয়টা আমি বল করলাম আর উইকেট তুলে নিলাম, এমন নয়; একটা সময় অন্য পাশ ধরে রাখা, স্পিনারদের কাজটা সহজ করে দেওয়াটাও গুরুত্বপূর্ণ।’
শেষ কিছুদিনে এখানকার উইকেট পেসবান্ধব আচরণও করেছে। সেটা তো আছেই, আর্দ্র কন্ডিশনকেও ভাবনায় রাখছেন ফার্গুসন। সেটা হলে পেসাররাও ম্যাচের গতিপথ পাল্টে দিতে পারবে, অভিমত তার।
তিনি বলেন, ‘তবে আমি ইংল্যান্ড সিরিজের হাইলাইটস দেখেছি, যখন পেসাররা অনেক উইকেট পেয়েছে এখানে। এখানে আর্দ্রতাও অনেক বেশি। বল সুইং করবে বেশ। তো আমরা আমাদের সুইং বোলিংয়ের জন্য বিখ্যাত। আমি নিশ্চিত আগামীকালও (আজ) এটা আমরা ব্যবহার করতে পারব।’