প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২৩:৩০ পিএম
এশিয়া কাপের ফাইনালের জন্যই বোধহয় এমন পারফরম্যান্স তুলে রেখেছিলেন মোহাম্মদ সিরাজ। না হলে এমন চাপের ম্যাচে দারুণ বোলিং করা সম্ভব নয়। ১৬টা বল করেই শ্রীলঙ্কার পাঁচ ব্যাটারকে ফেরান প্যাভিলিয়নে। তার ওই বিধ্বংসী বোলিংয়ের পর শ্রীলঙ্কা থামে মাত্র ৫০ রানে।
আরও পড়ুন - ফের হতাশ করলেন সৌম্য
ইনিংস শেষে সিরাজের বোলিং ফিগার ২১ রানে ৬ উইকেট। এমন দারুণ বোলিংয়ের পর ভারত ম্যাচ জয় নিশ্চিত করে ৩৭তম বলে। তাতে ভারতের ঘরে ওঠে এশিয়া কাপের শিরোপা। ফাইনালে সিরাজের দারুণ পারফরম্যান্সের পর তাকে ঘিরেই ছিল সতীর্থদের যত প্রশংসা।
শিরোপা ঘরে তোলার পর ভারতীয় ব্যাটার ঈশান কিষান জয়ের কৃতিত্ব পুরোটা দেন দুই পেসার জাসপ্রীত বুমরাহ ও মোহাম্মদ সিরাজকে। তিনি বলেন, ‘পুরো কৃতিত্ব দুই বোলার সিরাজ ও বুমরাহর। এখানে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ের জন্য কঠিন ছিল। তবে আমরা চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত ছিলাম।’ এশিয়া কাপ শেষে বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানান ঈশান, ‘আমরা আমাদের দায়িত্ব সম্পর্কে জানি। আমরা বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
ঈশানের কথার সঙ্গে সুর মিলিয়ে লোকেশ রাহুলও কৃতিত্ব দেন সিরাজকেই। তাকে নিয়ে রাহুল বলেন, ‘অসাধারণ।’ শিরোপা জয়ের পথটা সিরাজ একাই সহজ করে দিয়েছে জানিয়ে বলেন, ‘সে আমাদের হয়ে কাজটা করে দিয়েছে। সবাই সেই পথে হেঁটেছে। আমরা সহজে জিততে পেরেছি।’ এশিয়া কাপে রাহুল নিজেও ছিলেন দারুণ ছন্দে। বিশ্বকাপের সময়ও তার ব্যাটে থাকবে রানের ওই ফোয়ারাÑ তেমনটাই আশা তার, ‘আশা করি সামনের দুই মাসেও এভাবে রান করতে পারব। বিশ্বকাপে মাঝের ওভারগুলোতে স্পিনারদের খেলাই মূল চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জের অপেক্ষায় আছি।’
সিরাজের দেখানো পথে বল হাতে বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন হার্দিক পাণ্ডিয়া। মাত্র ১৩ বল করে ৩ রানে নেন ৩ উইকেট। তার মতে, শুরুতে টস হারাটা ভারতের জন্য ভালো হয়েছে, ‘টস হারাটা আমাদের জন্য ভালো হয়েছে। আমরাও আগে ব্যাট করতে চেয়েছিলাম।’ সিরাজের প্রশংসায় বলেন, ‘সিরাজ অসাধারণ বোলিং করেছে। দারুণ সুইং পেয়েছে এবং অসংখ্য সুযোগ তৈরি করেছে। এখনকার ওয়ানডে ক্রিকেটে নতুন বলে সুইং পাওয়া ও সুযোগ তৈরি করা গুরুত্বপূর্ণ। যেটা আমরা আজ (গতকাল) পেরেছি। প্রথম কয়েক ওভারে তো ওরা (শ্রীলঙ্কা) ব্যাটে বলই লাগাতে পারেনি। এটা অসাধারণ।’
এশিয়া কাপের ফাইনালের একাদশে জায়গা হয়নি শার্দূল ঠাকুরের। একাদশে না থাকলেও ডাগআউট থেকে উপভোগ করেন দলের খেলা। ফাইনাল জয়ে তার কৃতিত্ব বুমরাহ ও সিরাজের। তিনি বলেন, ‘শুরুর ওভারে বুমরাহ যা শুরু করেছিল, তারই ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছিল সিরাজ। এর চেয়ে ভালো কিছুই হতে পারে না। পেস বোলিং ইউনিটের জন্য দারুণ বিষয়। হার্দিক শেষ তিনটি উইকেট নিয়েছে। পেস বোলারদের একটা সম্মিলিত দারুণ পারফরম্যান্স।’
এশিয়া কাপে দলের হারের পর মন খারাপ শ্রীলঙ্কা কোচ ক্রিস সিলভারউডের। তিনিও ভারতের জয়ের নায়ক মানেন সিরাজকে। তাকে নিয়ে সিলভারউড বলেন, ‘সিরাজ দারুণ ছিল। বলার বাইরে। আজ (গতকাল) আমাদেরকে কঠিন এক বোলিং লাইনআপের বিপক্ষে খেলতে হয়েছে।’ হারের কারণ ব্যাখ্যায় সিলভারউডের ভাষ্য, ‘যেভাবে আমরা আউট হয়েছি সেটা হতাশাজনক। ব্যাটিংয়ে সাদিরার (সামারাবিক্রমা) এমন অবস্থা এর আগে কখনোই দেখিনি। আজকের পুরোটা সময় হতাশাজনক।’