প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১২:০৩ পিএম
আপডেট : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১২:৫৩ পিএম
এক প্রকার গোঁ ধরেই বসেছিলেন, হুমকি ছুড়েছিলেন, শেষ পর্যন্ত লড়ে যাওয়ার কথাও বলেছিলেন। মেয়েদের বিশ্বকাপ জেতার এক মাস পর অবশ্য নিজের চেয়ারে আর থাকতে পারলেন না লুইস রুবিয়ালেস। স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের পদ ছাড়তে হয়েছে তাকে। তবে রুবিয়ালেস বলছেন, সত্যের জন্য লড়ে যাবেন তিনি।
সোমবার গোল ডটকম একটি টিভি সাক্ষাৎকারের বরাতে রুবিয়ালেসের পদত্যাগের বিষয়টি জানায়। খবরে বলা হয়েছে, শুধু স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতির পদ থেকেই নয়, উয়েফার নির্বাহী কমিটির সহসভাপতির আসনও ছেড়ে দিচ্ছেন রুবিয়ালেস।
ঘটনার শুরু বিশ্বকাপের ফাইনালে স্পেন ইংল্যান্ডকে হারানোর পর। পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে জেনি হারমাসোর ঠোঁটে চুমু খেয়ে বসেন রুবিয়ালেস। ৩৩ বছরের হারমাসো জানান, চুমুটা পারস্পরিক সম্মতিতে হয়নি। মঙ্গলবার একটি আইনি অভিযোগও দায়ের করেন তিনি। জেনি হারমাসো বিচার চাওয়ায় ঘটনায় নেয় নতুন মোড়। তবে রুবিয়ালেস ক্ষমা চেয়েছেন, ভুলও স্বীকার করেছেন। কিন্তু পার পেলেন না। ফিফার নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন, পদও হারালেন।
তবে পদ ছাড়লেও লড়াই করার কথা জানিয়েছেন সাবেক বনে যাওয়া স্পেনের ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি, ‘সবকিছু চিন্তা করে স্পেনের ফুটবলের জন্য সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি আর দায়িত্ব পালন করতে পারব না। এ ঘটনায় আমার মেয়ে, পরিবার এবং যারা আমাকে ভালোবাসে, তারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে নিজের ওপরে ভরসা রেখেছি। সত্যের জয়ের জন্য লড়াই চালিয়ে যাব।’
চুমুর ঘটনার পর রুবিয়ালেসের দিকে ধেয়ে আসছিল একের পর এক সমালোচনার তির। পদক্ষেপ নিয়েছে নারী ফুটবলারদের সংগঠন ফুটপ্রো ইউনিয়ন। চুমুকাণ্ডের পর অন্তত ৮০ জন নারী ফুটবলার তার পদত্যাগের দাবি তুলেছিলেন। ২০ আগস্ট মেয়েদের ট্রফি উদযাপনের আগের সেই চুমুকাণ্ডে সমালোচনাকারীদের প্রথমে ‘ইডিয়ট’ বলেও মন্তব্য করেন রুবিয়ালেস। সেবার বলেছিলেন, ‘এটাকে ইতিবাচক ভাবুন।’ পরে অবশ্য ক্ষমাও চান।
শুরুর দিকে পদত্যাগের দাবি আমলে নেননি রুবিয়ালেস। ফিফার আরোপিত ৯০ দিনের নিষেধাজ্ঞার পর হারমাসোর আইনি লড়াইয়ে অংশগ্রহণের পর চাকরি থেকে ইস্তফা দিলেন তিনি। কদিন আগেও রুবিয়ালেস বলেছিলেন চুমুটি সম্মতিতে হয়েছে, ‘সম্মতিমূলক একটি কাজের জন্য আমাকে ছাঁটাই করে দেবে? আমি পদত্যাগ করছি না। আমি ঘটনার শেষ পর্যন্ত লড়ব।’