এখনও যেন বিশ্বাস হচ্ছে না কোকোর

এতদিন যা স্বপ্ন ছিল, তা এখন কোকো গফের বাস্তবতা। আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়নশিপ পয়েন্ট পেয়েই শরীরটা এলিয়ে দিলেন কোকো। দুই হাতে ঢাকলেন ‍মুখ। চোখ থেকে দুই ফোঁটা জলও গড়িয়ে পড়ল।

আরও পড়ুন : স্টোকসকে শুধু ব্যাটার বানাবে চোট

কিন্তু অবিশ্বাস আর কাটল কই! মার্কিন টিনএজার হিসেবে ইউএস ওপেন জিতে রেকর্ড গড়া তারকা এখনও ঘোরের মাঝে, ‘হে সৃষ্টিকর্তা, এটা কি আসলেই সত্যি?’

সত্যিটা হয়তো বুঝেও গেছেন কোকো, তিনিই এখন ইউএস ওপেনের নতুন রানী। মঞ্চটা আগেই প্রস্তুত ছিল দুই ফাইনালিস্ট গফ ও আরিনা সাবালেঙ্কার সামনে। যিনি জিতবেন তিনিই হবেন বছরের শেষ গ্র্যান্ড স্লামের নতুন রানী।

ঘরের দর্শকের সামনে শেষ হাসিটা হাসলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেনিস তারকা কোকো। শেষ সেট ৬-২ গেমে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়ে রাখলেন মান। তবে ফেভারিট হিসেবে শিরোপার মঞ্চে পিছিয়ে থাকা গফের বিশ্বাসই হচ্ছে না, চ্যাম্পিয়ন বনে গেছেন।

নিউইয়র্কে ম্যাচ শেষে নতুন রানী কোকো বলেছেন, ‘আমি এ মুহূর্তে স্তব্ধ। আমার মনে হচ্ছে সৃষ্টিকর্তা আমাকে কষ্টের ভেতর দিয়ে এটি দিয়েছেন। হয়তো অর্জনটাকে আরও মধুর করার জন্য। এ অনুভূতি ব্যক্ত করার ভাষা নেই।’

আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামে সাবালেঙ্কার বিপক্ষে প্রথম সেটে ২-৬ ব্যবধানে হারেন গফ। পরের দুই সেটে অবশ্য ঘুরে দাঁড়ান। ঘরের মাঠে ২৪ হাজার দর্শকের সামনে দুই সেটে ৬-৩ ও ৬-২ গেমে জিতে নেন। এতেই ম্যাচ নিজের করে নেন গফ।

১৯ বছরের কোকোর এটাই প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপা। এর আগে তার সর্বোচ্চ অর্জন ছিল ২০২২ সালে ফ্রেঞ্চ ওপেনের ফাইনাল খেলা। টেনিস কিংবদন্তি সেরেনা উইলিয়ামসের পর প্রথম মার্কিন টিনএজার হিসেবে ইউএস ওপেন জয়ের কীর্তিও গড়েছেন কোকো।

নতুন রানী সেরেনা উইলিয়ামসকে সামনে রেখে নিজের লক্ষ্যও নির্ধারণ করে নিয়েছেন, ‘সেরেনা সেরেনাই। সর্বকালের সেরা। আশা করি তিনি যা করেছেন তার অর্ধেকটা করতে পারব।’

আনন্দ অশ্রুতে কোকো শেষে নিজেকে প্রশ্নও করেছেন, ‘যখন বাবাকে জড়িয়ে ধরি, তখন মুখ দেখিনি। কারণ তিনি আমাকে জড়িয়ে ধরেছিলেন। তবে ওনার কান্না শুনতেছিলাম। জীবনে কখনও মানুষটাকে কাঁদতে দেখিনি। আর জানতাম হারি কিংবা জিতি, আমার মা কাঁদবেনই। নিজেকে সব সময় বলছিলাম, হে সৃষ্টিকর্তা, এটা কি আসলেই সত্যি?’