প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২২:২৪ পিএম
আপডেট : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২২:২৯ পিএম
এশিয়া কাপের সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচ লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের ব্যাটিং স্বর্গে আগে ব্যাট করতে নেমে ভালো সংগ্রহ পায়নি বাংলাদেশ। ৩৮.৪ ওভারে গুটিয়ে যায় ১৯৩ রানে। অল্প পুঁজিতে যা করার করতে হতো বোলারদেরই। সে লক্ষ্যে শুরুটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশি পেসাররা। চাপে রেখেছিল পাকিস্তানের ব্যাটারদের। সেই চাপ অবশ্য কেটে যায় ফিল্ডারদের ভুল ও আম্পায়ারার্স কলের কারণে। দুটি লেগ বিফোর আউট থেকে বেঁচে গিয়ে বাংলাদেশকে চেপে ধরে পাকিস্তান। ম্যাচ ছিনিয়ে নেয় ৬৩ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখে।
এদিন অবশ্য বিশ্বমানের পাকিস্তান পেসারদের বিপক্ষে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত বুমেরাং হয়ে দাঁড়ায় দ্বিতীয় ওভারেই। শূন্য রানে সাজঘরে ফিরে যান আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান মেহেদী মিরাজ। এরপর উইকেটে নেমে পাকিস্তান বোলারদের বিপক্ষে চড়াও হন লিটন দাস। তবে আগ্রাসী পাকিস্তানি পেসারদের সামনে খুব বেশি সময় টিকতে পারেননি তিনি। এরপর পাওয়ার প্লেতে একে একে ফিরে যান নাঈম ও তাওহীদ হৃদয়।
মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে চাপ সামাল দেন অধিনায়ক সাকিব। জুটি গড়েন ১০০ রানের। তাদের জুটিতে বড় রানের ভিতও পেয়েছিল বাংলাদেশ। তবে সাকিব ৫৩ রানে ফেরার পর দলীয় ১৭৪ রানে শামীম ফিরলে; ফের ধস নামে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপে। বাকি ব্যাটাররা মাত্র ১৯ রান যোগ করে ১৯৩ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। পাকিস্তান বোলাদের মধ্যে ১৯ রান খরচায় ৪ উইকেট নিয়েছেন হারিস রউফ। তিন উইকেট তুলেছেন নাসিম শাহ।
জবাবে দলীয় ৩৫ রানে প্রথম আঘাত আসে পাকিস্তানের ব্যাটিং অর্ডারে। ২০ রানে শরিফুলের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন ফখর জামান। এরপর বাবর আজমের সঙ্গে জুটি গড়েন ইমাম-উল-হক। বাবর তাসকিনের বলে ১৭ রান করে ফিরলেও রিজওয়ানকে নিয়ে দলকে জয়ের পথে রাখেন ইমাম। দলকে জয়ের খুব কাছে নিয়ে যাওয়ার পর মেহেদীর বলে দলীয় সর্বোচ্চ ৭৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন ইমাম। এরপর বাকি কাজটুকু আঘা সালমানকে নিয়ে সারেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। দলের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬৩ রান আসে তার ব্যাট থেকে।