প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২৩:১৩ পিএম
আপডেট : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১১:৪৬ এএম
বাংলাদেশের এশিয়া কাপ শুরু হয়েছিল হার দিয়ে। স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার কাছে প্রথম ম্যাচেই ব্যর্থতার গল্প লিখেছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। তবে সেই হতাশা ঝেড়ে ফেলল দ্বিতীয় ম্যাচেই। এবার ঠিকই জয় ছিনিয়ে নিয়েছে সাকিব আল হাসানের দল। আফগানদের ৮৯ রানে হারিয়ে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে কার্যত উঠে গেছেন কোচ হাথুরু সিংহের শিষ্যরা।
আরও পড়ুন : জয়ের স্বপ্ন বুনছে বাংলাদেশ
মেহেদি হাসান মিরাজ ও নাজমুল হোসেন শান্তর জোড়া সেঞ্চুরিতে রানের পাহাড় গড়ে বাংলাদেশ। ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৩৪ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পায় সাকিবের দল। তার পরও যেন স্বস্তি মিলছিল না।
কেননা আফগান ব্যাটাররা সমানতালে ব্যাট হাতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে ফিফটি হাঁকানো ইব্রাহিম জাদরান (৭৫) ও হাশমাতুল্লাহ শহিদিকে (৫১) ফিরিয়ে জয়ের স্বপ্ন দেখতে থাকেন লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ১৫ রান নিয়ে সাজঘরে ফেরেন গুলবাদিন নাইবও। ৩ রান নিয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন মোহাম্মদ নবি।
ইব্রাহিম জাদরান ও হাশমাতুল্লাহ শহিদির ফিফটির সঙ্গে দলীয় স্কোরে ৩৩ রান যোগ করেন রহমত শাহ। তবে ৪৪.৩ ওভারে ২৪৫ রানের বেশি তুলতে পারেনি আফগানিস্তান। তাসকিন আহমেদ একাই ৪ উইকেট শিকার করেন। ৩টি উইকেট পান শরিফুল ইসলাম।
প্রথম ম্যাচেই সেঞ্চুরির আভাস দিয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু ভক্তদের হতাশ করেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ফিরেছিলেন ৮৯ রানের চমৎকার এক ইনিংস খেলে। এবার আর ভুল হলো না। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরি ঠিকই আদায় করে নিলেন শান্ত। ক্যারিয়ারে এটি তার দ্বিতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরি। ১০১ বলে ৯ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় জাদুকরী ৩ অঙ্ক ছুঁয়েছেন বাংলাদেশের তারকা এই ব্যাটার।
শান্ত সেঞ্চুরি ছুঁয়েছিলেন ইনিংস বড় করার চেষ্টায়। কিন্তু দুর্ভাগ্য সেটা করতে পারেননি। রান নিতে দৌড় দিতেই ক্রিজের ওপর পড়ে যান। সুযোগটা আর মিস করেননি আফগান ক্রিকেটাররা। ১০৫ বলে ৯ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ১০৪ রানেই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাকে। তার আগে সাজঘরে ফিরে গেছেন আরেক সেঞ্চুরিয়ান মেহেদি হাসান মিরাজ। হাতের আঙুলের ব্যথা নিয়ে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেছেন তিনি। তার আগে ১১৯ বলে ৭ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় খেলেন ১১২ রানের দাপুটে এক ইনিংস। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ১৯০ বলে ১৯৪ রানের দুর্বার এক পার্টনারশিপ গড়েন ম্যাচসেরা মিরাজ ও শান্ত।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ২৫ রান নিয়ে রানআউট হয়ে ফেরেন মুশফিকুর রহিম। তবে ক্যাপ্টেন সাকিব আল হাসান ১৮ বলে খেলেন ৩২ রানের ঝোড়ো এক ইনিংস। ওপেনিংয়ে নেমে দারুণ ব্যাটিংয়ের আভাস দিয়েছিলেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। কিন্তু নিজের ইনিংসটি বড় করতে পারেননি। ব্যক্তিগত ২৮ রানেই মুজিব উর রহমানের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি। তবে সাজঘরে ফেরার আগে রানের খাতাই খুলতে পারেননি তাওহিদ হৃদয়।