প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৯:৫১ পিএম
আপডেট : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২০:১৭ পিএম
দলকে বিপদ থেকে টেনে তুলেছেন। আভাস দিয়েছিলেন সেঞ্চুরির। কিন্তু ইশান কৃষাণ পারেননি। তিনি ফিরলেও জাদুকরী তিন অঙ্ক হাতছানি দিয়ে ডাকছিল হার্দিক পান্ডিয়াকে। কিন্তু নাহ! তিনিও বঞ্চিত হয়েছেন সেঞ্চুরি থেকে। তবে দুজনের ফিফটিতে ভারত গড়তে যাচ্ছে লড়াই করার মতো স্কোর। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৪৪ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৪২ রান তুলে নিয়েছে ভারত।
আরও পড়ুন - ইশান-হার্দিকের ফিফটিতে লড়াইয়ে ফিরেছে ভারত
দলীয় ৬৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে রীতিমতো মাঠে ধুঁকছিল ভারত। পাকিস্তানের বোলারদের তোপটা ঠিকঠাক সামাল দিয়ে উঠতে পারছিলেন না কোহলি-রোহিতরা। শেষে পঞ্চম উইকেটে হার্দিক ও ইশান ১৪১ বলে ১৩৮ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলকে সাহস যোগান।
ইশান কৃষাণ ৮১ বলে খেলেন ৮২ রানের দুরন্ত এক ইনিংস। দারুণ এই ইনিংসে ছিল ৯ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কা। হার্দিক সাজঘরে ফিরেন ৮৭ রানের দাপুটে এক ইনিংস খেলে। তার ৯০ বলের চমৎকার ইনিংসে ছিল ৭ বাউন্ডারি ও এক ছক্কা।
বৃষ্টির কারণে পাল্লেকেলে শাহিন শাহ আফ্রিদি আরও বেশি সুইং পাচ্ছিলেন। বৃষ্টি বাধার পর পঞ্চম ওভারের তৃতীয় বলটিতেও আক্ষেপ ধরালেন। চতুর্থ বলটিও পড়তে পারেননি রোহিত শর্মা। ওভারের শেষ বলটিতে স্রেফ পরাস্ত হলেন ভারতের অধিনায়ক। তিন নম্বরে ব্যাটিং করতে আসা বিরাট কোহলিকেও বেশি সময় থাকতে দেননি শাহিন।
পাল্লেকেলে এদিন টসের আগেও বৃষ্টি ঝরে ছিল। দুবার মাঠ ঢেকে দেওয়ার পর নির্ধারিত সময়ে টস হয়ে খেলাও চার ওভার পর্যন্ত গড়িয়েছিল। তারপর বৃষ্টির তাণ্ডব। পরে যখন খেলা শুরু হলো তখন শাহিনের তোপ। রোহিত হাফ ভলি বলটি বুঝে উঠতে পারেননি। ২২ বলে ১১ রান করেই হয়েছেন বোল্ড। কোহলি তিনে নেমে দারুণ এক কাভার ড্রাইভে শুরু করলেও শাহিনের বলেই পরাস্ত হয়েছেন। ফিরেছেন মাত্র ৪ রান করে।
বৃষ্টির চোখ রাঙানি সত্ত্বেও বাংলাদেশ সময় বেলা ৩টা ৩০ মিনিটে খেলা শুরু হয়। পিচ রিপোর্টে বলা হয়েছে, স্পিনাররা পাবেন টার্ন। ফাস্ট বোলাররা সুবিধামতো গতিতে করতে পারবেন বোলিং। গতির ফল পেয়েও যাচ্ছিলেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। কিন্তু রোহিতের দেওয়া ক্যাচটি তালুবন্দি করতে ব্যর্থ ছিল। সেই রোহিতের সঙ্গে কোহলিকেও বোল্ড করে দাপট দেখাচ্ছে পাকিস্তান।