× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

এই দলকে বদলে দিয়েছেন পেসাররা

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২২ আগস্ট ২০২৩ ২২:৩৫ পিএম

এই দলকে বদলে দিয়েছেন পেসাররা

আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট শেষে অধিনায়ক লিটন দাসের মুখে পেসারদের নিয়ে ছিল স্বস্তির হাসি। শুধু টেস্টে নয় ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টিতেও বোলিং আক্রমণের ভরসা এখন পেসাররা। বিশ্বকাপে তাই পেসারদের ওপর থাকবে বাড়তি দায়িত্ব। সেই দায়িত্ব পালনে পেসাররা প্রস্তুত হচ্ছেন এশিয়া কাপের আগে চলমান ক্যাম্পে।

আরও পড়ুন : পাকিস্তানের পেস তাণ্ডবের সামনে ২০ ওভারও টিকল না আফগানরা

অনুশীলনে দেখা পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ডের পাশাপাশি হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেও তাদেরকে দিচ্ছেন টোটকা। পেসারদের দারুণ সময়টা উপভোগ্য নির্বাচকদের জন্যও। কারণ দলের প্রয়োজনে ব্রেক থ্রু এনে দেওয়া কাজ করতে পারছেন পেসাররা।

সামনে এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপ হওয়ায় পেসারদের ওয়ানডে ফরম্যাটের পারফরম্যান্সই বেশি আলোচনায়। চলতি বছর দেশ ও দেশের বাইরে মিলিয়ে ১২ ওয়ানডে খেলেছে বাংলাদেশ। ১২ ম্যাচে টাইগার একাদশে ছিলেন ছয় পেসার। নিয়মিত পাঁচ পেসার- তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, ইবাদত হোসেন, হাসান মাহমুদ ও শরিফুল ইসলামের পাশাপাশি খেলেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। এক ম্যাচ খেলা মৃত্যুঞ্জয় কোনো উইকেটের দেখা না পেলেও বাকি পাঁচ পেসারের সংগ্রহে আছে ৪৯ উইকেট। ১২ ওয়ানডেতে বাংলাদেশের বোলারদের শিকার ছিল ৮৯ উইকেট। অর্থাৎ বাংলাদেশি বোলারদের শিকার করা মোট উইকেটের ৫৫.০৬ শতাংশ উইকেট ছিল পেসারদের দখলে। 

বছরজুড়ে পেসারদের এমন পারফরম্যান্সের কারণে বিশ্বকাপে তাদের ওপর থাকবে ভরসা। সিরিজগুলোতে বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে পেসারদের যথেষ্ট সুযোগ দেওয়া হয়েছে বলে জানান নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন। এর জন্য অবশ্য কৃতিত্বটা হেড কোচ হাথুরুসিংহেকে দেন তিনি, ‘ওর (হাথুরুসিংহে) সামনে প্রথম লক্ষ্য বিশ্বকাপ। সেখানে আমরা যে উইকেটে ভালো খেলি স্পিন বোলিং উইকেট, সেখানে কিন্তু এমন উইকেট থাকবে না। তাই ভিন্ন উপায়ে চিন্তা করেছে। যেটা বিশ্বকাপে ফেস (খেলবে) করব, সেটা এখানেই ফেস করার চেষ্টা করি।’ মূলত কোচের ওই চিন্তায় পেস বোলারদের সাহস জুগিয়েছে বহুগুণে।’

জাতীয় দলের এমন পেস ইউনিটের জন্য অবশ্য কৃতিত্ব ঘরোয়া ক্রিকেটকে দেন হাবিবুল বাশার সুমন। তার মতে, ঘরোয়া ক্রিকেটের উইকেট পেসবান্ধব হওয়ার ফল পেস বিপ্লবের এই উত্থান। পাশাপাশি এমন মানসম্পন্ন পেসারদের পেয়ে দল নির্বাচন সহজ, সেটাও জানান তিনি। বলেন, ‘অবশ্যই আমরা ভাগ্যবান পাশাপাশি ও (হাথুরুসিংহে) ভাগ্যবান। পেস বোলার আছে যারা উইকেট নিতে পারে। আগে তো আমরা স্পিনারদের নিয়ে উইকেট নেওয়ার চেষ্টা করতাম। আগের পেসারদের ছোট করছি না। কিছুটা রক্ষণাত্মক ছিল তারা। এখনকার পেসাররা আমাদের আক্রমণের বড় অংশ। কোচের হাতে যেমন আছে, আমাদের অধিনায়কের হাতেও আছে বিকল্প আছে, যখন কোনো উইকেট দরকার হয় যেকোনো পেস বোলারকে নিয়ে আসতে পারে। আমাদের পাঁচ পেস বোলারের মধ্যে পাঁচজনই কিন্তু উইকেট নেওয়ার মতো সক্ষমতা আছে।’

চলতি বছর বাংলাদেশের হয়ে উইকেট শিকারে সবার ওপরে আছেন পেসার হাসান মাহমুদ ও তাসকিন আহমেদ। দুই পেসারই সাত ম্যাচে শিকার করেন ১২টি করে উইকেট। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১ উইকেট নেন পেসার ইবাদত হোসেন। সিলেটের এই পেসার খেলেছেন আট ম্যাচ। তবে এশিয়া কাপের দল থেকে ইনজুরির কারণে ইবাদত সরে দাড়াতে বাধ্য হয়েছেন। সাতটি করে উইকেট নিয়েছেন দুই বাঁহাতি শরিফুল ইসলাম ও মুস্তাফিজুর রহমান। দুই বাঁহাতির মধ্যে তুলনামূলক ভালো অবস্থায় আছেন শরিফুল। তিন ম্যাচ খেলে তার শিকার ছিল সাত উইকেট। মুস্তাফিজের সাত উইকেট পেয়েছে সাত ম্যাচে। 

প্রথম দফায় হাথুরুসিংহেকে সবাই চিনেছিল স্পিননির্ভর কোচ হিসেবে। দ্বিতীয় দফায় অবশ্য সেই ধারাবাহিকতা থেকে বেরিয়ে এসেছেন তিনি। দুই সময়ে পেসারদের মধ্যে থাকা পার্থক্য স্পষ্ট ধরতে পারছেন নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন। তিনি বলেন, ‘একটা তো বড় পরিবর্তন আসছে অবশ্যই পেস বোলিংয়ে। আগে যখন হাথুরুসিংহে কাজ করেছিল তখন কিছু নতুন ক্রিকেটারও এসেছিল। তখনকার দলটা যথেষ্ট ভালো ছিল। তখন কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাটিং ও স্পিননির্ভর দল ছিল। তখনকার পেস বোলাররা এখনকার মতো এত সমৃদ্ধ ছিল না।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘ও (হাথুরুসিংহে) কিন্তু আসার আগে দল নিয়ে পড়াশোনা করে এসেছে। দেখেছে কিন্তু আমাদের পেস বোলিং ইউনিট ভালো হয়েছে।’ নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমনের ধারণা, পেস বোলিং ইউনিটের এই উন্নতি দেখেই পেসারদের নিয়ে দলকে এগিয়ে নেওয়ার কাজ করছেন কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। বিশ্বকাপে ও এশিয়া কাপে কোচের আস্থার কতটুকু প্রতিদান দিতে পারেন পেসাররা সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা