প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২০ আগস্ট ২০২৩ ১৮:০৩ পিএম
আপডেট : ২০ আগস্ট ২০২৩ ১৮:৫৮ পিএম
চড়াই-উতরাই, ধাক্কা কিংবা অনিশ্চয়তা— নারী বিশ্বকাপে সবকিছুর মাঝ দিয়ে গিয়েছিল স্পেন। জাপানের সঙ্গে গ্রুপপর্বে হেরে সমালোচিত হওয়া জর্জ ভিদার দলটিই দাপট দেখালো ফাইনালে। ভাগ্য সহায় হলে ইংলিশ মেয়েদের জালে এক হালি গোলও ঠুকতে পারত। তবে শেষ পর্যন্ত অল্ম-মধুর বিশ্বকাপ যাত্রায় ট্রফি নিয়েই থামছেন লা রোজারা। ইংল্যান্ডকে কান্নায় ভাসানো দিনে বোনমাতি-কারমনারা পেয়েছে ১-০ গোলে দাপুটে জয়, বনেছেন ফুটবলের নতুন চ্যাম্পিয়ন।
সিডনির অস্ট্রেলিয়া স্টেডিয়ামে শিরোপা নির্ধারণের মঞ্চে দাপট দেখিয়েছে স্পেন। বল দখল, গোলে শট কিংবা আক্রমণ— সব বিভাগে আধিপত্য দেখানো ম্যাচে স্প্যানিশদের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন ওলগা কারমনা। পেনাল্টি থেকে ব্যবধান বাড়াতে না পারার আক্ষেপে পুড়েছেন জেনিফার হার্মেসো। মূল খেলার বাইরে অতিরিক্ত আরও ১৩ মিনিটের খেলায়ও ইংলিশরা গড়তে পারেনি ব্যবধান।
ফাইনালের মঞ্চে আগে কখনও আসতে পারেনি ইংল্যান্ড। স্পেন কখনও পেরোতে পারেনি নকআউটের বাধা। আনকোরা দুই দল ইতিহাস গড়ার ম্যাচে সেমিফাইনালের মতো আবারও স্প্যানিশদের ত্রাতা হয়েছেন কারমনা। প্রথমার্ধের ২৯ মিনিটে তার গোলটিই জয়-পরাজয়ের ব্যবধান গড়ে দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, নরওয়ে ও জাপানের পর নতুন বিশ্বসেরা পেয়েছে নারী ফুটবল।
ম্যারি এরাপস পেনাল্টি ঠেকানোর পাশাপাশি দিয়েছিলেন দারুণ কিছু সেভ— টুইটার
স্প্যানিশদের নারী ফুটবল ইতিহাসে এটাই প্রথম শিরোপা। শুধু তাই নয়, বিশ্ব ফুটবল ইতিহাসে স্পেনই একমাত্র দেশ যাদের নারী ও পুরুষ উভয় দল বিশ্বকাপ জিতেছে। ইংল্যান্ডকে হারিয়ে বোনমাতি-কারমনারা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আগে ২০১০ সালে বিশ্বের সেরা হয়েছিল স্পেনের পুরুষরা।