প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২০ আগস্ট ২০২৩ ১১:০৫ এএম
আপডেট : ২০ আগস্ট ২০২৩ ১১:৪৩ এএম
এই তো কিছুদিন হলো ইন্টার মিয়ামিতে নাম লিখিয়েছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। তার জাদুর স্পর্শে বদলে গেছে গুটা দল। লিওনেল মেসির নেতৃত্বে হারতে ভুলে যাওয়া ইন্টার মিয়ামিতে আজই প্রথম কোনো শিরোপা জিতল। যে জয়ের নেপথ্যের নায়ক রেকর্ড সাত বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী। অথচ শিরোপা জয়ের পরও অধিনায়ক হিসেবে সেই শিরোপাই আগে হাত দেননি মেসি। দেখিয়েছেন মহাত্ব। মেসির পূর্বের মিয়ামি অধিনায়ক ডিআন্দ্রে ইয়েদলিনের হাতে নেতৃত্বের আর্মব্যান্ড পরিয়ে সঙ্গে করে নিয়ে গেছেন ট্রফি হাতে তুলে নিতে। গ্রেটদের বুঝি এমনই হতে হয়।
অথচ কদিন আগেই ইউরোপের গতিময় ফুটবলের পাঠ চুকিয়ে মেসি যখন নাম লেখালেন যুক্তরাষ্ট্রের অখ্যাত ক্লাব ইন্টার মিয়ামিতে। তখন সমালোচনাও কম হয়নি। কেউ কেউ তো আনন্দে নেচেই উঠলেন। এবার বুঝি সংবাদের শিরোনাম হওয়া থামল মেসির। কিন্তু না দীর্ঘ ক্যারিয়ারের বহু সাফল্যের রচয়িতা জানেন কিভাবে সংবাদের শিরোনামে নিজেকে নিয়ে আসতে হয়। কিভাবে একটা দলকে পথ দেখাতে হয়। শিরোপার স্বপ্ন দেখাতে হয়। সমর্থক টানতে হয়। নয়তো কেনই বা এমন রাতারাতি বদলে যাবে ইন্টার মিয়ামি।
কদিন আগেও যেই দলটি টানা ১১ ম্যাচে কোনো জয়ের মুখ দেখিনি সেই দলটিই কিনা লিগস কাপে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন। প্রতিপক্ষকে দুমড়ে মুচড়ে দিয়ে ফাইনালে উঠবে। সবাইকে অবাক করে দিয়ে প্রথম শিরোপার স্বাদ নেবে। নামটি মেসি বলেই হয়তো সম্ভব।
এ নিয়ে ইন্টার মায়ামির হয়ে টানা ৭ ম্যাচে ১০ গোল করলেন মেসি। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি গোল তিনি করেছেন দলের চরম বিপর্যয়ের মুহূর্তে। দলকে লড়াইয়ে ফিরিয়েছেন এরপর সতীর্থদের দিয়ে গোল করিয়েছেন। এমন একজন পারফর্মারকে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে বেছে নিতে তাই ভুল করেনি লিগস কাপ কমিটি। মেসি পেয়েছেনও সেটা। এরপর যখন চ্যাম্পিয়নস ট্রফি হাতে নেওয়ার পালা তখন মেসিকে ভিন্ন এক রূপে চিনল তার সতীর্থরা।
প্রথমে নিজের অ্যার্মব্যান্ড পরিয়ে দিলেন মিয়ামির আগের অধিনায়ক ডিআন্দ্রে ইয়েদলিনের হাতে। এরপর তাকে নিয়ে শিরোপা মঞ্চে গিয়ে একসঙ্গে দু’জনে মিলে ট্রফি নিলেন। ফুটবলের সৌন্দর্য বুধয় এখানেই। আর এই সৌন্দর্যের রচয়িতা মিয়ামির স্বপ্ন দ্রষ্টা মেসি।