প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ আগস্ট ২০২৩ ০৩:৪৬ এএম
আপডেট : ১৭ আগস্ট ২০২৩ ১২:০৭ পিএম
এই তো সপ্তাহ দুয়েক আগের কথা। ম্যানচেস্টার সিটি সেদিনও ছিল বছরের চতুর্থ শিরোপার দুয়ারে। আর্সেনালের বিপক্ষে কমিউনিটি শিল্ডের সেই ম্যাচে শেষমেশ পেনাল্টি শুটআউটের অঙ্কটা মেলানো হয়নি সেবার।
সপ্তাহ দুয়েক পর আবারও শিরোপার দুয়ারে, নম্বরটা একই রইল—চতুর্থ শিরোপা। এবারও খেলাটা গড়াল পেনাল্টি শুটআউটে। প্রতিপক্ষের পেনাল্টি টেকারদের তালিকায় ছিল আবার গনজালো মন্তিয়েল ভদ্রলোকের নাম। বিশ্বকাপ, ইউরোপা লিগের ফাইনালে যিনি পেনাল্টি শুটআউটে বল জড়িয়েছিলেন জালে, তার দল আর্জেন্টিনা আর সেভিয়া দুবারই হেসেছে শেষ হাসি।
দুটো তথ্য কি ভাবনায় এসেছিল ম্যানচেস্টার সিটির কারও? এসে থাকলে তা কি একটুকু ডাকও দিয়েছিল তাদের মনের কোণে?
শুভাশুভ ভাবনা এসে থাকুক বা না থাকুক, ওপরের দুটি তথ্যকে ঠিকই আস্তাকুঁড়ে ফেলেছে সিটি। উয়েফা সুপার কাপে সেভিয়ার বিপক্ষে নির্ধারিত সময়ে ১-১ ড্রয়ের পর টাইব্রেকারে তাদের হারিয়েছে ৫-৪ গোলে। আর তাতেই মৌসুমের প্রথম আর বছরের চতুর্থ শিরোপার দেখা পেয়ে গেছে কোচ পেপ গার্দিওলার দল।
ম্যাচের প্রথম গল্পটা ছিল অবশ্য ইউসেফ এন নেসিরির। বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর পর্তুগালের বিপক্ষে তার গোল মরোক্কান রূপকথার বড় এক অংশই হয়ে গেছে। এরপর ইউরোপা লিগে জোসে মরিনিওর রোমাকেও থামিয়েছিলেন এই তিনিই। সেই নেসিরি গোল পেলেন এবারও। কাকতালীয়ভাবে এবারও ওই বাতাসে ভেসে করা এক হেডারই গিয়ে আছড়ে পড়ল জালে। রোনালদো, মরিনিওর পর গার্দিওলারও বুঝি কপাল পোড়াতে চলেছেন নেসিরি, ঠাওর হচ্ছিল তেমনই।
তবে তা হলো না কোল পালমারের কল্যাণে। ২১ বছর বয়সি এই উইঙ্গার সপ্তাহ দুয়েক আগের কমিউনিটি শিল্ডেও গোল করেছিলেন। এবারও করলেন। ৬৩ মিনিটে তার গোলই সিটিকে ফেরাল সমতায়।
৯০ মিনিটে ওই ২ গোলই হলো শুধু। খেলাটা গড়াল পেনাল্টি শুটআউটে। সিটির পাঁচ পেনাল্টির প্রতিটিই জড়াল জালে। ভুলটা করল সেভিয়া। পঞ্চম শট নিতে আসা নেমানিয়া গুদেল বলটা মেরে বসেন ক্রসবারে। তাতেই টাইব্রেকার হেঁয়ালির সমাধান পেয়ে যায় সিটি। ঘরে তুলে নেয় নিজেদের ইতিহাসের প্রথম সুপার কাপ।