অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ফাইনালে ইংল্যান্ড

চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দলের লড়াইয়ে যেমনটা আশা করা হয়; ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচটি আক্ষরিক অর্থেই ছিল তেমনটিই। শক্তিমত্তায় ইংল্যান্ড মেয়েদের থেকে পিছিয়ে থাকলেও দর্শক সমর্থন পক্ষে ছিল অস্ট্রেলিয়ার মেয়েদের। তাই নিয়ে নিজেদের সবটুকু দিয়ে ম্যাচের শেষ পর্যন্ত লড়াই করে গেছে অস্ট্রেলিয়া। তবে লড়াই করলেই চলে না। ভাগ্যের সহায়তাও প্রয়োজন পড়ে ফাইনালে যেতে। সেখানেই হেরে গেছে দলটি। নয়তো ৬৩ মিনিটে স্যাম কেরের গোলের পর সমতায় ফেরা অস্ট্রেলিয়া স্বপ্ন দেখছিল ম্যাচটি ভাগিয়ে নেওয়ার। তবে শেষ পর্যন্ত হয়নি সেটি। এরপর আরও দুই গোল দিয়ে সকারোদের নাকের ডগা থেকে ম্যাচটা ভাগিয়ে নিয়েছে লরেন হেম্প। ৩-১ গোলের জয়ে প্রথমবারের মতো নারী বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠে গেছে ইংল্যান্ড।

আয়োজকদের অন্যতম ভেন্যু স্টেডিয়াম অস্ট্রেলিয়ার পুরোটায় এদিন সেজেছিল হলুদ রঙে। সেই হলুদ রঙকে বেদনার নীল রঙে রাঙিয়ে দিতে ইংল্যান্ডের মেয়েরা সময় নিয়েছে ৩৬ মিনিট। রেড ডেভিলদের প্রধান হাতিয়ার এলা টুনের গোলে ম্যাচে লিড নেয় ইংল্যান্ড। পিছিয়ে পড়লেও একটুও ধমে যায়নি অস্ট্রেলিয়া। চোখে চোখে রেখে লড়াই করেই প্রথমার্ধ শেষ করেছে দলটি।

দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে গোল করতে মরিয়া হয়ে উঠে অস্ট্রেলিয়া। একের পর এক আক্রমণে কোণঠাসা হয়ে পড়ে ইংল্যান্ড। এরপর সময় নিয়ে গুছিয়ে উঠে পাল্টা আক্রমণে যায় ইংল্যান্ড। যা কাল হয়ে দাঁড়ায় তাদের জন্য। দ্রুত কাউন্টার অ্যাটাকে এসে ডি বক্সের বাইরে থেকে জুড়াল শটে বল জালে জড়িয়ে অস্ট্রেলিয়াকে ম্যাচে ফেরান কের। এরপর এগিয়ে যাওয়ার পালা। আক্রমণও চালাচ্ছিল সাকারোজরা। তবে সুযোগ বুজে ম্যাচে লিড নিতে বুল করেনি হেম্প। পিছিয়ে পড়ে অস্ট্রেলিয়া।

তবে হাল ছাড়েনি দলটি। আক্রমণে গতি আরও বাড়ায়। যে কোনো মূল্যে ম্যাচে ফেরা চায় তাদের। সুযোগও তৈরি হয় বেশ কবার। কখনো নিজেদের ভুল। কখনো বা প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের বাধা। সব মিলিয়ে বেশ কবার আক্রমণে গিয়েও কাজের কাজ হয়নি কিছুই। উল্টো কাউন্টার অ্যাটাকে এসে অস্ট্রেলিয়ার কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন আলেশিয়া রুসো। ম্যাচের ৮৬ মিনিটে হেম্পের বাড়ানো বল জালে পাঠাতে ভুল হয়নি তার। অস্ট্রেলিয়ার গ্যালারিতে তখন কান্নার রোল। মাঠে আসা দর্শকরা বুজে গেছেন বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলার স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে তাদের। এরপর খুব বেশি সময়ও ছিল না ম্যাচে ফেরার। অস্ট্রেলিয়ার মেয়েরাও পারেনি সেটি।

রবিবার শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে ইংল্যান্ডের মেয়েরা মুখোমুখি হবে স্পেনের। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল চার টায়।