প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৬ আগস্ট ২০২৩ ১১:২০ এএম
বাংলাদেশে ফেরার সময় সঙ্গে করে ছেলে চাইক হাথুরুসিংহেকে নিয়ে আসেন হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। ছুটি কাটাতে কোচের পরিবারের ঘুরতে আসার বিষয়টি নতুন নয়। কিন্তু ‘ঘুরতে’ আসার বিষয়টি আলোচনার জন্ম দিয়েছে দলের অনুশীলন সেশনে চাইকের উপস্থিতি। নানা মহলে হচ্ছে নানা ধরনের কথা।
আরও পড়ুন : বিবর্ণ লিটন—দুর্দান্ত সাকিব, কোয়ালিফায়ারে গল
বিসিবি কোনো আনুষ্ঠানিকভাবে না জানানোয় মূলত হাথুরুসিংহের ছেলের উপস্থিতি নানা মহলে নানাভাবে আলোচিত হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্রতিদিনের বাংলাদেশকে জানান, ছুটি কাটাতে এসেছেন চাইক। স্পোর্টস সায়েন্সের ছাত্র হওয়ায় এখন হাতে-কলমে শেখার কাজটি করছেন।
সর্বপ্রথম হাথুরুসিংহের ছেলেকে মিরপুরে দেখা যায় গত ১০ আগস্ট। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নোটপ্যাড হাতে ঘুরতে দেখা যায় তাকে। সেই সময় প্রশ্ন জাগে বিসিবিতে কি নিয়োগ পেলেন হাথুরুসিংহের ছেলে?
সেই প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার নাফিস ইকবাল গণমাধ্যমকে জানান, ঘুরতে এসেছেন চাইক হাথুরুসিংহে। তারই সৌজন্যে মিরপুরে আসেন চাইক। সেদিন মিরপুরে দলের অনুশীলন দেখেই শেষ হয়নি চাইকের কার্যক্রম। বাবার সঙ্গে পুরো মিরপুর স্টেডিয়াম ঘুরে দেখেন।
হাথুরুসিংহের ছেলের মিরপুরে আসা কিংবা দলের অনুশীলন দেখার ওই আলোচনা থামতে পারত সেখানে। আলোচনা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ দলের ‘ক্লোজ ডোর’ অনুশীলনে হাথুরুসিংহের ছেলের উপস্থিতি। ক্লোজ ডোর অনুশীলনের প্রথম দিন গত ১৩ আগস্ট বাংলাদেশ দলের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন চাইক।
পরে অবশ্য জানা যায় সেটা দলের বৈঠক ছিল না। সেটি ছিল বাংলাদেশ দলে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত মনোবিদ ফিল জোনসের ক্লাস। সেখানে ক্রিকেটারদের পেছনে বসে ছিলেন চাইক। ছবিতে দেখা যায় নিজের নোটপ্যাডে ওই ক্লাসের নানা তথ্য টুকে নিচ্ছেন।
ওই ছবিই মূলত নতুন আলোচনা তৈরি করে। অনুশীলনে বহিরাগত কারও উপস্থিতি দলের জন্য ক্ষতিকর কি না, এমন প্রশ্ন জাগে। পাশাপাশি ছেলেকে দলের অনুশীলনে আনার আগে হাথুরুসিংহে বিসিবির কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছেন কি? এমন প্রশ্নও শোনা গেছে নানা মহলে।
গতকাল সেই সব প্রশ্নের উত্তর প্রতিদিনের বাংলাদেশকে দিয়েছেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন। জানান দলের কয়েকটি অনুশীলন সেশনে ছেলেকে রাখার অনুমতি আগেই নেন হাথুরুসিংহে।
এই নিয়ে নিজামউদ্দিন চৌধুরীর ভাষ্য, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা সচেতন আছি। বিষয়টা হচ্ছে ওর (হাথুরুসিংহের) ছেলে স্পোর্টস সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করছে। যেটা বলেছে, ওর ছেলে যেহেতু ছুটিতে এসেছে তাই আমাদের এখান থেকে কিছুটা প্র্যাকটিক্যাল অভিজ্ঞতা নেবে। সেটা ৪-৫ দিনের জন্য।’
সুজন আরও বলেন, ‘ও (চাইক হাথুরুসিংহে) মূলত আমাদের ক্রীড়া মনোবিদের করানো একতা সেশনে পর্যবেক্ষক হিসেবে ছিল। আর কিছু অনুশীলন সেশনেও ছিল- এটাই।’