প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৩ আগস্ট ২০২৩ ০৮:৪৪ এএম
বয়স ৩৭ পেরিয়ে গেছে। ক্যারিয়ারের এ সময়ে এসে দল থেকে বাদ পড়া মানে যাত্রাপথেও যতিচিহ্ন পড়ে যাওয়া। তবে শেষ কিছুদিনে মাহমুদউল্লাহর প্রাথমিক দলে আসা, অনুশীলন- সবকিছু ভিন্ন কিছুর ইঙ্গিতই দিচ্ছিল। যদিও শেষমেশ তা গিয়ে ঠেকল তার ব্রাত্য থাকাতেই। অভিজ্ঞ এই ব্যাটারকে ছাড়াই এশিয়া কাপে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন : ইতিহাসের হাতছানি নিয়ে আমিরাতে কিংস
‘নিজের গল্পকে চ্যালেঞ্জ করো’- স্বগতোক্তিটাকেই হয়তো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটা ছবির ক্যাপশনে দিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেনও বৈকি! ক্যাম্প শুরুর আগে থেকেই শুরু করেছিলেন অনুশীলন।
ক্যাম্প শুরুর পর তার তীব্রতা বেড়েছে আরও। কাঁধের চোটে পড়ার পর থেকে বোলিংয়ে তেমন নিয়মিত নন, সে বোলিং অনুশীলনেও মনোযোগ দিয়েছিলেন। সবকিছুর মূলে ওই একটাই চাওয়া, দল থেকে হারানো জায়গাটা।
কিন্তু তার সে চাওয়াটা পূরণ হয়নি শেষমেশ। এশিয়া কাপের ১৭ জনের স্কোয়াডে জায়গা হয়নি তার। তবে একেবারে আলোচনাই হয়নি, বিষয়টা এমন নয় আদৌ। আলোচনা হয়েছে অনেক লম্বা, তবে শেষতক টিম ম্যানেজমেন্টের পরিকল্পনায় জায়গা হয়নি তার, অগত্যা দল থেকেও।
প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু জানান, ‘মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে অনেক লম্বা আলোচনা হয়েছে প্রথম দিকে। তারপর অনেক আলোচনা করার পর টিম ম্যানেজমেন্ট আমাদেরকে একটা পরিকল্পনা দেয়- সামনে কীভাবে কোন দেশের সঙ্গে খেলবে, কী পরিকল্পনা। ওই চিন্তাভাবনা করেই কিন্তু রিয়াদকে বাদ দেওয়া হয়েছে।’
মাহমুদউল্লাহ যখন দল থেকে বাদ পড়েন, তখন তার পেছনে নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছিল তার স্ট্রাইক রেট। সঙ্গে তার ফিল্ডিংও। শেষ কিছুদিনে এ নিয়েও কাজ করেছেন তিনি। তবে শেষতক কিছুতেই কিছু হলো না। দলে ব্রাত্যই থেকে গেলেন।
দিনকয়েক আগে বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছিলেন, এশিয়া কাপের দলটাই খেলবে বিশ্বকাপে। তবে নির্বাচক নান্নু গতকাল জানালেন ভিন্ন কথা।
তার ভাষ্য, ‘এখন বিশ্বকাপের দল নয়। এশিয়া কাপের দল। বিশ্বকাপের দল দিই, তারপর আপনাদের জানানো হবে। এখন এশিয়া কাপ নিয়ে আলোচনা করছি। এশিয়া কাপে টিম ম্যানেজমেন্ট আমাদেরকে একটা পরিকল্পনা দিয়েছে, অতিরিক্ত স্পিনার বা পেসার নিয়ে খেলা, এ ধরনের ব্যাপার নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই সিদ্ধান্তটা নেওয়া হয়।’
তার কথাতে ইঙ্গিত রয়ে গেল বিশ্বকাপের স্কোয়াডে পরিবর্তনেরও। বিশ্বকাপে মাহমুদউল্লাহর ক্ষীণ আশাটাও কি বেঁচে রইল তাতে?