প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ আগস্ট ২০২৩ ১৪:০১ পিএম
নির্ধারিত সময়ে সকাল ৯ টায় মিরপুরে আগমণ বিশ্বকাপ ট্রফির। অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমের হাত ধরে মিরপুরের মূল মাঠে ঢোকে বিশ্বকাপ ট্রফি। মুশফিকের পর ডায়াসে ট্রফি রাখার পর একে একে ক্যাম্পে থাকা ক্রিকেটাররা ট্রফিটি ছুঁয়ে দেখেন। তোলেন ছবি। পরে গণমাধ্যমকর্মী, ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট অন্যান্যদের জন্য ট্রফি রাখা হয় শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মিডিয়া সেন্টারের সামনে। সেখানে লাইনে দাঁড়িয়ে ছবি তোলার সুযোগ পান সবাই।
নারী ক্রিকেটাররাও এখানেই ট্রফি দেখার সুযোগ পান। বিশ্বকাপ ট্রফি সামনাসামনি দেখে বেশ উচ্ছ্বসিত ছিলেন তারা। ট্রফি দেখার পর নারী দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি গণমাধ্যমকে জানান কতটা উচ্ছ্বসিত ছিলেন তারা।
নারী ক্রিকেটারদের এইভাবে ট্রফি দেখার সুযোগ করে দেওয়ায় বিসিবিকে ধন্যবাদ দিতেও ভোলেননি জ্যোতি। তিনি বলেন, ‘আগে কখনো সামনা-সামনি দেখার সুযোগ হয়নি। ধন্যবাদ বিসিবি ও আমাদের নারী বিভাগকে, আমাদের এ সুযোগটা দেওয়ার জন্য এবং অনেক তরুণ খেলোয়াড় ছিল তাদের আসলে স্বপ্নের মতো ছিল বিশ্বকাপ ট্রফিকে সামনে থেকে দেখা।’
বিশ্বকাপ ট্রফি দেখার পাশাপাশি বাংলাদেশ দলের প্রতি প্রত্যাশার কথাও বলেন তিনি। এই বিষয় নিয়ে জ্যোতির ভাষ্য, ‘অবশ্যই বলতে হয়, প্রত্যাশা বাংলাদেশের কাছ থেকে আমাদের সবার খেলোয়াড় হিসেবে অনেক বেশি, প্লাস হচ্ছে জনগণেরও অনেক বেশি। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আমার মনে হয় সেরা দলটাই বোধ হয় এবার। যারা তরুণ খেলোয়াড় তারা খুব ভালো ছন্দে আছে এবং এ সংস্করণে আমরা খুব ভালো খেলি। সো ফার তাদের কাছ থেকে আমরা তো সেরাটাই আশা করব।’
নারী ক্রিকেটারদের মতো মিডিয়া সেন্টারের সামনে ট্রফি দেখতে আসেন জাতীয় দলের নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন। তার মধ্যে উচ্ছ্বাস থাকলেও লুকিয়ে ছিল আক্ষেপও। এই নিয়ে তার ভাষ্য, ‘ট্রফিটা ছুঁয়ে ধরতে পেরে খুব ভালো লাগছে, একটা স্বপ্ন তো থাকেই। যদি খোলা ট্রফিটা ধরতে পারতাম জেতার পরে, তাহলে আরও ভালো লাগবে। একটু রোমাঞ্চ অনুভব করছি, আমাদের জন্য বিশ্বকাপ মনে হচ্ছে আজকে শুরু হয়ে গেল।’
জাতীয় দলের কাছে জ্যোতির মতো তারও আছে প্রত্যাশা। সেটা জানিয়ে বলেন, ‘প্রতিটা বিশ্বকাপ আসে আশা নিয়ে, দিন-দিন আশা বাড়ছে। আশা প্রতিবারই পরিবর্তন হচ্ছে, আর এবারের আশাটা শুধু আমার নয়, সবারই একটু বেশি। কারণ, গত দু’বছর ধরে খুব ভালো খেলছি আমরা ৫০ ওভারের সংস্করণে।’