ওভাল টেস্ট
প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ৩০ জুলাই ২০২৩ ০০:০৭ এএম
স্টোকসের এই হতাশার ছবিটির ভিন্ন রূপ দেখেছিল অস্ট্রেলিয়া
দশ ওভারের মত খেলা বাকি থাকতেই আম্পায়ার ঘোষণা করে দেন ‘তৃতীয় দিনের খেলা এখানের মত শেষ।’ ঘুরিয়ে বললে, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডের তাণ্ডব দিনের মত শেষ করেন। মিচেল স্টার্কের খুশি হতে যাওয়া দিনে ‘বাজবলের’ কার্যত প্রয়োগ করেছেন বেন স্টোকসের দল।
দ্য ওভালে দ্বিতীয় ইনিংসে ৮০ ওভার ব্যাট করেছে ইংল্যান্ড। ব্যাটিং অর্ডারে বদল আনার দিনে তোপ দেগেছে ইংলিশদের টপ, মিডল অর্ডার ব্যাটার। ওভারপ্রতি প্রায় ৫ গড়ে তুলেছে ৩৮৯ রান। দিনশেষে অস্ট্রেলিয়ার সামনে ৩৭৭ রানের খাড়া। কাল চতুর্থ দিনের শুরুটাও করবে ইংলিশদের শেষ উইকেট জুটি। ১০ রানের জুটি গড়ে এগোনো ব্রড ও অ্যান্ডারসন অস্বস্তি বাড়িয়েছে প্যাট কামিন্সের দলের৷
শনিবার দুর্দান্ত শুরু করা ইংলিশদের টপ অর্ডারের ছয় ব্যাটারের তিনজন পান ফিফটির দেখা। এদের মাঝে বেয়ারস্টো ৭৮ রান এবং ওপেনার জ্যাক ক্রলি করেন ৭৩ রান৷ ৯ রানের আক্ষেপ নিয়ে ৯১ রান করে ফেরেন জো রুট। বাকি তিনজনের দুজনের রান ৪২ করে।
স্টার্কের মুখে চারবার এমন উইকেট উদযাপনের হাসি এসেছিল, কিন্তু দিনশেষে সেটা মিলিয়ে দিয়েছে ইংলিশ ব্যাটাররা
ইংলিশ ব্যাটারদের দাপুটে দিনে ৪ উইকেট নিয়েছেন স্টার্ক। তিনটি মারফির। তবে স্বাগতিকদের দিনে সফরকারীদের আক্ষেপ বাড়িয়েছেন শেষ উইকেট জুটি। ব্রড-অ্যান্ডারসন অবিচ্ছিন্ন থাকায় চাপ থাকছে অজিদের।
ওভাল টেস্টের প্রথম দিন তোপ দেগেছিলেন মিচেল স্টার্ক-জশ হ্যাজলউডরা। ৯৯ রানে ইংল্যান্ডের শেষ ৭ উইকেট তুলে নিয়ে প্রথম দিনটাও নিজেদের করেছিলেন প্যাট কামিন্সের দল। দ্বিতীয় দিনে এসে অস্ট্রেলিয়া পড়ে পেস তোপে। ইংলিশদের চার পেসারের দাপটে চা-বিরতির পরও প্রায় শত রান পেছনে ছিল অজিরা। সেখান থেকে দলকে ১২ রানের লিড এনে দেয় স্মিথের ব্যাট। যোগ্য সঙ্গ ছিল টড মারফি ও অধিনায়ক কামিন্সের।
ওভাল টেস্টটা শুরুর আগে সিরিজে থাকতে পারত ২-২ সমতা। সেদিক থেকে এবারের অ্যাশেজের শেষ ম্যাচটা হতে পারত ‘ফাইনাল’! সেটা না হলেও শেষে টেস্টের গুরুত্বও কম নয়। ম্যাচটি জিতলে সিরিজ ড্র করবে ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়া জিতলেই ২০০১ সালের পর ইংল্যান্ডের মাটিতে প্রথম সিরিজ জিতবে দলটি।