ইংলিশ পেসারদের দাপটের দিনে অজিদের লিড

ওভালে আগের দিন তোপ দেগেছিলেন মিচেল স্টার্ক-জশ হ্যাজলউডরা। ৯৯ রানে ইংল্যান্ডের শেষ ৭ উইকেট তুলে নিয়ে প্রথম দিনটাও নিজেদের করেছিলেন প্যাট কামিন্সের দল। দ্বিতীয় দিনে এসে অস্ট্রেলিয়া এবার পড়েছে পেস তোপে। ইংলিশদের চার পেসারের দাপটে চা-বিরতির পরও প্রায় শত রান পেছনে ছিল অজিরা। সেখান থেকে দলকে ১২ রানের লিড এনে দিয়েছে স্মিথের ব্যাট। যোগ্য সঙ্গ ছিল টড মারফি ও অধিনায়ক কামিন্সের। 

কেনিংটন ওভালে সিরিজের শেষ ম্যাচে ম্যানচেস্টার টেস্টের মতোই বোলিংয়ে তোপ দেগেছে বেন স্টোকসের দল। ওল্ড ট্রাফোর্ডের বৃষ্টিতে দুঃখ থাকলেও সেটি বয়ে বেড়াতে চাননি ইংলিশ অধিনায়ক। ব্যাটিংয়ে ততটা ভালো না করলেও বোলিংয়ে সেটি পুষিয়ে দিয়েছে তার দল। তবে লিড রাখতে পারেনি। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস ১২ রান এগিয়ে থামে ২৯৫ রানে৷ প্রথম ইনিংসে ২৮৩ রান করেছিল ইংল্যান্ড।

মারফি-কামিন্সের জুটি ইংলিশদের বেশ ভুগিয়েছে

শুক্রবার দিনের শুরুটা ভালো হলেও দ্বিতীয় সেশনটা পুরোটা নিজেদের করেছে ইংল্যান্ড। লাঞ্চ এবং চা-বিরতির মাঝে তুলে নিয়েছে অজিদের পাঁচটি উইকেট। শেষ দিকে স্মিথের মাটি কামড়ে থাকা ৭১ রানের ইনিস এবং মারফি-কামিন্সের জুটিতে ইংলিশদের ইনিংস শোধ করে এগিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া।

ওভাল টেস্টটা শুরুর আগে সিরিজে থাকতে পারত ২-২ সমতা। সেদিক থেকে এবারের অ্যাশেজের শেষ ম্যাচটা হতে পারত ‘ফাইনাল’! সেটা না হলেও শেষে টেস্টের গুরুত্বও কম নয়। ম্যাচটি জিতলে সিরিজ ড্র করবে ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়া জিতলেই ২০০১ সালের পর ইংল্যান্ডের মাটিতে প্রথম সিরিজ জিতবে দলটি।