প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৬ জুলাই ২০২৩ ২২:৩৯ পিএম
আপডেট : ১৬ জুলাই ২০২৩ ২৩:১৯ পিএম
টেস্ট খেলুড়ে সব দেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের রেকর্ড গড়ল বাংলাদেশ ছবি: আ. ই. আলীম
বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে বোলিংয়ে কাজ এগিয়ে রেখেছিলেন তাসকিন আহমেদ। আফগানদের ১১৬ রানে বেঁধে রাখতে দুর্দান্ত ছিলেন সাকিব-মোস্তাফিজও। ব্যাটিংয়ে লিটন এবং পজিশনে প্রোমোশন পাওয়া আফিফ গড়ে দেন জয়ের ভিত৷ শেষে অধিনায়ক সাকিবের ব্যাটে চড়ে বাংলাদেশ পেল আরেকটি জয়। ৬ উইকেটের জয়ে প্রথমবার আফগানদের বিপক্ষে তাতেই নিশ্চিত হয়েছে টি-টোয়েন্টিতে সিরিজও।
সিলেটে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিততে সাকিব-লিটনদের দরকার ছিল ১১৯ রান। আফগানরা স্কোরবোর্ডে ১১৬ করলেও বৃষ্টি আইনে বাংলাদেশের জয়ের জন্য লক্ষ্য ২ রান বেড়ে দাঁড়ায় ১১৯ রানে। বৃষ্টি আইনে রান বাড়লেও জয় পেতে খুব একটা কষ্ট হয়নি। ৫ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটের জয় পায়।
জয়ের সঙ্গে আফগানদের বিপক্ষে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের স্বাদ পেল বাংলাদেশ। পাশাপাশি সবগুলো টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের রেকর্ডও গড়ল। আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছে দুটো। ২০১৮ সালের সিরিজে বাংলাদেশ পড়েছিল ধবলধোলাইয়ের কবলে। গত বছর দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজটা হয়েছিল ড্র। এবার সেই আক্ষেপ মেটাল সাকিব আল হাসানের দল।
আফগানদের দেওয়া ওই লক্ষ্য সহজ করে দেন ওপেনিং জুটিতে নামা লিটন দাস ও আফিফ হোসেন। ২০ বলে আফিফ করেন ২৪ রান। দুইজনের জুটিতে আগে প্যাভিলিয়নে ফেরা লিটনের ব্যাটে ৩৬ বলে আসে ৩৫ রান। দুজনের ৬৭ রানের জুটিতে গড়ে জয়ের ভিত। লিটন-আফিফ ফেরার পর ওই আশা হয়ে ওঠে কিছুটা ফিকে। নাজমুল হোসেন শান্ত আটকে যান মাত্র ৪ রানে। ৯ রানের মাথায় তিন উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়া বাংলাদেশকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তোলেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও তাওহিদ হৃদয়। তাওহিদ ১৯ রান করে ফিরলেও সাকিব ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।
এর আগে টস জিতে উইকেটের সুবিধা কাজে লাগান বাংলাদেশের বোলাররা। শুরুতেই তাসকিনের আঘাতে ফেরেন ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ। আরেক ওপেনার হজরতউল্লাহ জাজাইকেও ওই শর্ট বলের বিষেই নীল করেন তাসকিন। ৭.২ ওভারের সময় আসা বৃষ্টিতে বন্ধ হয় খেলা। সেই সময় আফগানদের সংগ্রহ ছিল ২ উইকেটে ৩৯ রান।
বৃষ্টির পর শুরুতেই আফগান শিবিরে আঘাত হানেন নাসুম আহমেদ। দুইবার দুইবার মোহাম্মদ নবিকে আউট করার সুযোগ আসে তার সামনে। সাকিব আল হাসান ও লিটন দাস ক্যাচ মিস করায় উইকেটের স্বাদ পাননি নাসুম। নবি খুব বেশি উইকেটেও ছিলেন না বেশি সময়। মুস্তাফিজুর রহমানের বলে ব্যক্তিগত ১৬ রানে ফেরেন। অথচ, এই নবিই প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ছিলেন আফগানদের ত্রাণকর্তা। গতকাল আর পারেননি।
আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও করিম জানাত শেষ মুহূর্তে রান বাড়ানোর সর্বোচ্চ চেষ্টাটুকুই করেন। আজমতউল্লাহ ২৫ ও করিম জানাত করেন ২০ রান। গত ম্যাচে আজমতউল্লাহ ঝড় গতকালও ছিল। তবে গত ম্যাচের মতো এতোটা বিধ্বংসী ছিলেন না। বাংলাদেশের হয়ে তাসকিন আহমেদ ৪ ওভার বোলিং করে ৩৩ রানে নেন ৩ উইকেট। দুইটি করে উইকেট নেন সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমান। দারুণ বোলিংয়ের পর দারুণ ব্যাটিংয়ে প্রথমবারের মতো আফগানদের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের স্বাদ পেল বাংলাদেশ।