প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৫ জুলাই ২০২৩ ১৭:৪৭ পিএম
আপডেট : ১৫ জুলাই ২০২৩ ১৮:৫৬ পিএম
একবার দক্ষিণ আফ্রিকা জিতছে, এরপরই আবার সমতা ফেরাচ্ছে বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বাংলাদেশ সফরে ক্রমটা বদলাল না এবারও। চতুর্থ ম্যাচে ৪ উইকেটে জিতে বাংলাদেশ আবারও সিরিজে সমতা এনেছে। ২-২ সমতায় থাকা সিরিজটা এখন অপেক্ষায় অঘোষিত ফাইনালের, সোমবার হবে যার ফয়সালা।
সিরিজে টিকে থাকতে হলে জিততেই হতো বাংলাদেশকে। এমন ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে গুঁড়িয়ে দেন রাফিউজ্জামান। ১৮ রানে নেন ৫ উইকেট। জিতেছেন ম্যাচসেরার পুরস্কারটাও। তবে শুরুর ধাক্কাটা প্রোটিয়াদের দিয়েছেন রিজান হোসেন। অভিষিক্ত এই পেস অলরাউন্ডার নিজের প্রথম ওভারেই ওপেনার থিবি গ্যাজাইডেকে বিদায় করেন দারুণ এক ইনসুইংগারে। এরপর ডেভিড টিজারেরও নিয়তি হলো একই। এখানেই শেষ নয়। এরপর পাওয়ার প্লেতে জোনাথন ওয়ারেন ফন জাইলকেও শিকার বানান রিজান।
রিজানের পর এলো রাফির পালা। গিলবার্ট প্রিটোরিয়াসকে ফিরিয়ে যার শুরু। ৪৩ রান করে প্রিটোরিয়াস ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন লড়াইয়ের, সেই তার বিদায়ের পর প্রোটিয়ারাও ভেঙে পড়ে যেন। প্রিটোরিয়াসের সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন রিচার্ড সোলেতসোয়ান, এরপর সেই রিচার্ডকেও নিজের শিকার বানান রাফি।
এরপরও যে সফরকারীদের ইনিংস তিন অঙ্ক ছুঁয়েছে, তার কৃতিত্বটা লিয়াম অ্যাল্ডার ও অলিভার জেমস হোয়াইটহেডের। তাদের জুটিটাকে আরও বেশি ভয়ংকর হওয়ার আগেই ভেঙে দেন ওয়াসি সিদ্দিক। এরপর ওয়াসি শিকার করেন আরও এক উইকেট। রাফি এরপর ফেরান অ্যাল্ডারকে। সঙ্গে প্রোটিয়াদের লেজ মুড়ে দেওয়ার কাজটাও সারেন তিনি, ফেরান কোয়েনা মাফাকা ও ত্রিস্তান লুসকে। দক্ষিণ আফ্রিকা তাদের ইনিংস শেষ করে ১২৮ রান তুলে।
জবাবে বাংলাদেশ অবশ্য শুরুতেই খুইয়ে বসে চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ানকে। আরেক ওপেনার আদিল বিন সিদ্দিকও খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি উইকেটে। ৩ চার ও ১ ছক্কায় ১৬ বলে ২৫ রান করে ফেরেন সাজঘরে। ৫০ পেরোনোর আগে ফিরলেন আরিফুল ইসলামও।
তবে পরিস্থিতিটা দলের জন্য আরও বেশি অস্বস্তিকর হওয়ার আগেই দলের হাল ধরেন রিজান ও নাইম আহমেদ। দলীয় ৭৭ রানে নাইম ও শিহাব জেমস ফেরেন। ৭৮ রানে যখন ষষ্ঠ উইকেটটা খোয়াল বাংলাদেশ, তখন ঘোর বিপদের প্রমাদই গুনছিল দল।
এরপর আশরাফুজ্জামানকে সঙ্গে নিয়ে অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান আর কোনো বিপদ হতে দেননি দলের। তাদের অবিচ্ছিন্ন ৫৩ রানের জুটিই জয়ের বন্দরে নিয়ে যায় বাংলাদেশকে। দুজনেই অপরাজিত থাকেন ২৫ রানে।