টপ ফাইভই বড় ফ্লপ

প্রথম ম্যাচ শেষে অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি ব্যাটারদের আরেকটু দায়িত্ব নেওয়ার আহ্বান জানান। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি হারের পরও কাঠগড়ায় ব্যাটাররাই। যদি আরেকটু ভালো করতে পারতেন এমন আক্ষেপ বাংলাদেশ দলে। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে স্পিনার নাহিদা আক্তার তাই সরাসরি বললেন, ‘যারা আমাদের সিনিয়র ব্যাটার আছেন, তাদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো উচিত।’ তিনি আরও যোগ করেন, ওপরের দিকের ব্যাটারদের মধ্যেই আছে দুর্বলতা। বলেন, ‘টপ ফাইভে আমাদের দুর্বলতা আছে।’

ব্যাটারদের আরও বেশি দায়িত্ব নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে নাহিদা আক্তার বলেন, ‘ব্যাটারদের আরেকটু দায়িত্ব নিতে হবে। কেন এ রকম হচ্ছে, সেটা ওদের চিন্তা করতে হবে।’ পরের ম্যাচে এ সমস্যা থাকবে না এমনটাই আশা তার, ‘পরের ম্যাচে ইনশা আল্লাহ ব্যাটাররা কামব্যাক করার চেষ্টা করবেন। ব্যাটাররা যার যার জায়গা থেকে চিন্তা করবেন আসলে কী কী ভুলটা করছেন। এটা আসলে তাদের দায়িত্ব। তাদের দায়িত্ব আসলে তারা কীভাবে নেবেন বা কীভাবে চিন্তা করবেন।’

তিনি আরও যোগ করেন, ১১ থেকে ১৫ ওভার আমরা একটু ধীরে খেলছি। যদি এ জায়গায় উন্নতি করতে পারি ও সিঙ্গেল রান নিতে পারি তাহলে মনে হয় পরের ব্যাটারদের জন্য রান করা সহজ হয়ে যায়। না হলে পরের ব্যাটারদের ওপর চাপ বাড়ে।

ভারতের বিপক্ষে ছোট লক্ষ্যও চাপ হয়ে দাঁড়ায়নি ভারতের জন্য। নিজেদের কাজ ঠিকঠাকভাবে করার চিন্তা নিয়ে নেমেছিল বাংলাদেশ। সেটা হয়নি বলেই হারের তিক্ত স্বাদ নিতে হয়েছে, সেটাই মনে করেন নাহিদা, ‘ভারত বলে চাপ অনুভব করিনি। আমাদের কাজ ছিল ২০ ওভার টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। বোলাররা নিজেদের কাজ করবেন, ব্যাটাররা ব্যাটারদের রোল পালন করবেন।’ ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ওপর চাপ বাড়ায় ডটবল সমস্যা। প্রথম ম্যাচেও ছিল একই ধরনের সমস্যা। সেখান থেকে বাঁচতে বারবারই সুইপে মনোযোগী হন নারী ক্রিকেটাররা। সেটা নিয়ে নাহিদা বলেন, ‘উইকেটটা আসলে সুইপ করার মতো ছিল। ব্যাটাররা কলাপস করছেন, হয়ে গেছে।’

অন্যদিকে ভারতের হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা শেফালি ভার্মা জানান, ছোট লক্ষ্য দিলেও জয়ের আশা ছিল তাদের। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই (জয়ের আশা ছিল)। আমরা ওদের ৬০ রানে অলআউট করার চিন্তাভাবনা করেছিলাম। আমরা অত্যন্ত আশাবাদী ছিলাম।’ বাংলাদেশকে হারানোর পেছনে সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব ভারতের বোলারদের। সে বিষয়ে শেফালি বলেন, ‘বোলিং ইউনিট হিসেবে আমরা দারুণ করেছি। আমরা আগেও এ রকম করেছি।’