সাফ সাফল্যের পুরস্কার দিল বাফুফে

দীর্ঘ ১৪ বছর পর বাংলাদেশ দল খেলেছে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে। এরপরই বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন দলকে ৫০ লাখ টাকা বোনাসের ঘোষণা দেন। গতকাল দলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় সে অর্থ খেলোয়াড়দের হাতে তুলে দেওয়া হয়। 

আরও পড়ুন : জেসিরও অভিষেক

সাফের স্কোয়াডে ছিলেন ২৩ খেলোয়াড়। তাদের সঙ্গে সাপোর্টিং স্টাফ ছিলেন আরও ১১ জন। তাদের সবার মাঝেই ৫০ লাখ টাকা ভাগ করে দেওয়া হয়েছে সমানভাবে। সবাই সমানভাবে ১.৫ লাখ টাকা করে পেয়েছেন।

তবে তিন ফুটবলারকে বাড়তি অর্থ তুলে দিয়েছেন সালাউদ্দিন। ব্যক্তিগতভাবে তাদের অর্থ দিয়েছেন বাফুফে সভাপতি। তিন খেলোয়াড় হলেন গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো, তরুণ ফরোয়ার্ড শেখ মোরসালিন ও ডিফেন্ডার বিশ্বনাথ ঘোষ।

জিকো সাফের সেরা গোলরক্ষক হয়েছিলেন। সে কারণে তাকে ব্যক্তিগতভাবে ১ লাখ টাকা দিয়েছেন সালাউদ্দিন। একই অঙ্ক পেয়েছেন শেখ মোরসালিনও। এবারই প্রথম সাফ খেলতে গিয়েছিলেন তিনি। অভিষেক আসরেই তিনি করেছেন দুই গোল। বাংলাদেশ যে সেমিফাইনালে খেলেছে, তাতে বড় একটা অবদান তার। এ বাড়তি অর্থ তারই পুরস্কার।

ডিফেন্ডার বিশ্বনাথ অবশ্য পেয়েছেন সবচেয়ে বেশি। তাকে ৫ লাখ টাকা দিয়েছেন বাফুফে সভাপতি। সাফে দারুণ পারফরম্যান্স ছিল তার। তবে তার এই পুরস্কার পাওয়ার কারণটা ভিন্ন। সাফের আগে বিশ্বনাথ পুরো দলকে জানিয়েছিলেন, সেমিফাইনাল খেলতে পারলে তিনি নিজে দলকে ৫ লাখ টাকা দেবেন। মূলত তার এমন নিবেদনে মুগ্ধ হয়েই সালাউদ্দিন তাকে দিয়েছেন বাড়তি এই অর্থ।

তিনি বলেন, ‘বিশ্বনাথ নিজেই ঘোষণা দিয়েছিল দল সেমিফাইনালে জিতলে সে ৫ লাখ টাকা দেবে। এটা স্পিরিটের অংশ। এ রকম খেলোয়াড়ই আমার দরকার। তাকেও আমার পক্ষ থেকে সামান্য অর্থ পুরস্কার।’ 

এ ছাড়া মোরসালিন ও জিকোরও দারুণ প্রশংসা করেন সালাউদ্দিন। বলেন, ‘জিকো টুর্নামেন্টের সেরা গোলরক্ষক হয়েছে। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের। মোরসালিন তো আছেই, সঙ্গে ফাহিম আর হৃদয়ও আমাদের ফুটবলের ভবিষ্যৎ। তাদের পারফরম্যান্সে আমি দারুণ সন্তুষ্ট।’