প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ জুলাই ২০২৩ ২২:৪৫ পিএম
আপডেট : ০৬ জুলাই ২০২৩ ১১:৩৫ এএম
যা হওয়ার, শেষমেশ হলো তা-ই। শুরুর পাওয়ারপ্লের পর থেকে কখনোই বাংলাদেশ জিতবে, দিনশেষে জেতাও হলো না। আফগানিস্তানই হাসল শেষ হাসি। কয়েক দফা বৃষ্টির বাগড়ার পর ডাকওয়ার্থ লুইস স্টার্ন পদ্ধতিতে বাংলাদেশকে ১৭ রানে হারাল আফগানরা। সিরিজে এগিয়ে গেল ১-০ ব্যবধানে।
ব্যাট হাতে বাংলাদেশের দিনটা ছিল হতাশার। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা অবশ্য মন্দ হয়নি। তামিম ইকবালকে নিয়ে সমালোচনা হচ্ছিল গতকাল থেকে। শতভাগ ফিট না হয়েও কেন খেলবেন, এমন প্রশ্নবাণে জর্জরিত হচ্ছিলেন। এর পরও ম্যাচে তিনি নামেন। তবে মাঠে নামার সিদ্ধান্তের যথার্থটা অবশ্য তিনি প্রমাণ করতে পারেননি। দলীয় ৩০ রানে ফেরেন তামিম, ২১ বলে তিনি করেন ১৩ রান।
এরপর অবশ্য লিটন দাস আর নাজমুল হোসেন শান্ত মিলে ধাক্কাটা সামলেছিলেন প্রতি আক্রমণের কৌশলে। ২৯ বলে দুজনের জুটি তুলে ফেলে ৩৫ রান। তবে এরপরই লিটন দাস বিদায় নেন মুজিব উর রহমানকে সীমানাছাড়া করতে গিয়ে। পরের ওভারে শান্তও পথ ধরেন লিটনেরই।
দুই ওভারে দুই ব্যাটারকে খোয়ানোর ধাক্কা সাকিব আল হাসান আর তাওহীদ হৃদয় সামলান খানিকটা রয়েসয়ে। তবে সাকিব টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। মোহাম্মদ নবীর দারুণ এক ক্যাচ বনে তিনি বিদায় নেন ৩৮ বলে ১৫ রান করে। এর তিন বল পর মুশফিকুর রহিমও বিদায় নেন ৩ বলে ১ রান করে। বাংলাদেশ বিপদে পড়ে যায় তখনই।
আফিফ হোসেন হোক কিংবা মেহেদি হাসান মিরাজ, কেউই সে বিপদ থেকে উদ্ধার করতে পারেননি আর। তাওহীদ হৃদয় চেষ্টা করেছিলেন একটা। কিন্তু ওপাশে সঙ্গীদের আসা-যাওয়া দেখতে দেখতে আর কতদূরই বা কী করা যায়? ইনিংসের একমাত্র ফিফটির পরই তিনি ফেরেন ৫১ রান করে নবম ব্যাটার হিসেবে। আর তিনি আউট হওয়ার পর বেশি এগোয়নি বাংলাদেশের ইনিংস। থামে ১৬৯ রানে।
বাংলাদেশ ইনিংসে বৃষ্টির হানা ছিল কয়েক দফা। যে কারণে খেলাটা আগেই নেমে এসেছিল ৪৩ ওভারে। বাংলাদেশ তাই রানটা ১৬৯ করলেও পুঁজিটা ছিল ১৬৩ রানের।
মামুলি পুঁজি সামলাতে হলে প্রয়োজন ছিল শুরুতেই উইকেটের। সে উইকেটটা বাংলাদেশ আর পেল কই? চাপে রেখেছিল বটে। ১৬তম ওভারে রহমানউল্লাহ গুরবাজ যখন ফিরছেন সাকিব আল হাসানের শিকার হয়ে, তখন দলের রান মোটে ৫৪। এরপর তাসকিন আহমেদ ফেরান তিনে নামা রহমত শাহকে। আফগানদের দলীয় রান যখন ৮৪, তখন বৃষ্টি হানা দিল আবার। এর আগে দিনে যত বারই বৃষ্টি হয়েছে, কিছুক্ষণ পর চলেও গেছে। কিন্তু এবার আর গেল না। কিছুক্ষণ থেমেছিল বটে, কিন্তু তা স্রেফ মাঠকর্মীদেরই কাজ বাড়াল এই যা।
বৃষ্টি যখন নেমেছে, ডিএলএসএর হিসাব তখনই বলছে, বল আর মাঠে না গড়ালে আফগানরাই জিতবে। খেলা ২০ ওভার পেরিয়ে গেছে, এখন ফল বেরোতে আর কোনো সমস্যা নেই। সেই হিসাব বলছিল, ১৭ রানে এগিয়ে আফগানরা। শেষমেশ খেলা আর মাঠে গড়ালই না। আফগানরাই হাসল শেষ হাসি, ডিএলএস পদ্ধতিতে তারা জিতল ১৭ রানে। সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে নামবে দলটি। আগামী ৮ জুলাই মাঠে গড়াবে সিরিজের দ্বিতীয় সেই ওয়ানডে। ভেন্যু সেই একই, চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম।