ইংল্যান্ডকে শঙ্কায় ফেলে ফিরলেন স্টোকস

অ্যাশেজেই টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে অন্যতম সেরা ইনিংস খেলেছিলেন বেন স্টোকস। হেডিংলিতে সেবার ২১৯ বলে অপরাজিত ১৩৫ রান দলকে পাইয়ে দিয়েছিল ১ উইকেটের নাটকীয় জয়। লর্ডসেও তিনি দাপট দেখালেন, মারকুটে ব্যাটার পেলেন সেঞ্চুরির দেখা, দেড়শ ছাপিয়ে স্টোকসের ব্যাটে স্বপ্নও দেখছিল ইংলিশরা। কিন্তু তাকে ১৫৫ রানে থামিয়ে লর্ডস টেস্টের লাগাম নিজেদের হাতে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।

লর্ডস টেস্টের শেষ দিনে লাঞ্চের আগের দুই ওভারে বেন স্টোকস-স্টুয়ার্ড ব্রড দুজনে মিলে তোলেন ৩১ রান। দুজন মিলে না বলে বলা উচিত—স্টোকস একাই করেন ৩০ রান। অস্ট্রেলিয়ার পেসার ক্যামেরুন গ্রিনকে টানা তিন ছক্কায় উড়িয়ে সেঞ্চুরি পূরণ করা ইংলিশ অধিনায়ক শেষ পর্যন্ত থেমেছেন ১৫৫ রানে। ২১৪ বলে ৯টি করে চার-ছক্কায় তোলেন ১৫৫ রান। ইনিংসের ৭২তম ওভারে হ্যাজলউডের সর্ট লেন্থের বাউন্স পড়তে পারেননি, পেছনে থাকা ক্যারি আগেরবার স্মিথের মতো ভুল করেননি।

চতুর্থ দিনের শেষ সময়ে ইংলিশদের ইনিংসে তোপ দেগেছিলেন মিচেল স্টার্ক ও প্যাট কামিন্স। পঞ্চম উইকেটে দলকে টানছিলেন ডাকেট-স্টোকস। দিনের সকাল নিজেদের করতে পারতেন দুই বেন—বেন স্টোকস ও বেন ডাকেট। ইংলিশদের হতে যাওয়া সকালে অবশ্য বাগড়া দিয়েছেন জস হ্যাজলউড। অস্ট্রেলিয়ার পেসার ডাকেটকে ফিরিয়ে ভেঙেছেন অবিচ্ছিন্ন ১৩২ রানের জুটি। ডাকেট ফিরেছেন ৮৩ রানে। ১১২ বলের ইনিংসে ৯টি বাউন্ডারি হাঁকিয়েছিলেন বাঁহাতি এ ব্যাটার।

ডাকেট ফিরলে দলের হাল ধরতে আসা জনি বেয়ারস্টো হয়েছেন অদ্ভুদ আউট। ক্রিজ ছেড়ে বেড়িয়ে যাওয়ায় তার স্ট্যাম্প ভেঙে দেন অ্যালেক্স ক্যারি। রিভিউ নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে রায় দেন আম্পায়ার। ১৯৩ রানে নিজেদের ষষ্ঠ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। এরপর লাঞ্চ পর্যন্ত দাপট দেখান স্টোকস। অবশ্য শেষ পর্যন্ত তিনি পারেননি লর্ডসকে হেডিংলি বানাতে।