প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০২ জুলাই ২০২৩ ১৩:২৩ পিএম
আপডেট : ০২ জুলাই ২০২৩ ১৫:১৪ পিএম
স্বপ্নভঙ্গ। র্যাঙ্কিংয়ে অনেক ব্যবধানে এগিয়ে থাকা কুয়েতকে আটকে রাখা গিয়েছিল ১০৫ মিনিট পর্যন্ত। আর মিনিট পনেরো গেলেই টাইব্রেকার… ফাইনালের হাতছানিও বৈকি! কিন্তু সব শেষ হয়ে গেল যোগ করা সময়ের প্রথমার্ধ শেষের একটু ভুলে। স্বপ্নভঙ্গ নয়তো কী? ১-০ গোলের এই হারে গর্ব আছে ঠিক, একটু আফসোসও আছে বৈকি! ম্যাচটা যে বাংলাদেশও জিততে পারত, সেটা আবার নির্ধারিত ৯০ মিনিটেই!
আরও পড়ুন : তবু জিকোই তো ম্যাচের নায়ক
শারীরিক গড়নে তো বটেই, ফুটবল খেলুড়ে দেশ হিসেবেও তো কুয়েতের অবস্থান বাংলাদেশের চেয়ে অনেক ওপরে। তার ওপর দীর্ঘদিন ধরে দলটা পায়নি হারের স্বাদও। তাই তো তাদের ধরা হচ্ছে সাফের ফেভারিটও।
সেই দলের বিপক্ষেই কি না ধাতস্থ হয়ে ওঠার আগেই প্রথম সুযোগটা পেয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। ডান পাশ থেকে ভেসে আসা নিচু ক্রসটা শেখ মোরসালিন পেয়ে গিয়েছিলেন একেবারে গোলমুখে, আলতো টোকাতেই হয়ে যেতে পারত গোল। কিন্তু হলো না শেষমেশ। হলো না ফিরতি সুযোগটা কাজে লাগানোও।
ভাগ্যটাও যেন কিছুটা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল গতকাল। না হয় ৬০ মিনিটে রাকিব হোসেনের শটটা কেন অমন পরিণতি পাবে? ডান প্রান্ত থেকে রাকিব বল নিয়ে ঢুকে গিয়েছিলেন বক্সে। ডিফেন্ডার ছিলেন অনেক দূরে। কুয়েত গোলরক্ষক আবদেল রাহমান কামিল কিছু বুঝে ওঠার আগেই তিনি নিয়েছিলেন শটটা, বলটা কোথায় গেল, জানলেন না কামিল নিজেও। বলটা গিয়ে শেষমেশ লাগল ক্রসবারের নিচের অংশে। এ পরিস্থিতি থেকে পরিণতি হতে পারত একটাই, সোজা গোললাইন পেরিয়ে যাওয়া। সেটা তো হলোই না, উল্টো বলটা বেরিয়ে এলো ছিটকে। আরও একটা সুযোগ বেরিয়ে যায় মুঠো গলে।
এই দুই বিশাল সুযোগই মূলত কোচ হাভিয়ের কাবরেরাকে এনে দিয়েছে বিশ্বাস, তার দলই ছিল শ্রেয়তর দল। তবে খানিকটা আফসোসও কি এনে দেয়নি? এ দুই সুযোগের একটাও যদি কাজে লাগানো যেত, তাহলে যে ম্যাচটা শেষ হয়ে যেত ৯০ মিনিটেই, সঙ্গে এসে যেতে পারত জয়টাও!