প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ জুন ২০২৩ ১৯:২১ পিএম
আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগের ওপর ফুটবল থেকে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা দেয় ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। নিষেধাজ্ঞা না এলেও অভিযোগের তীর ছিল আরও কয়েকজনের ওপরও। আর্থিক অসঙ্গতির কারণে আবু হোসেনও পেয়েছিলেন ফিফার চিঠি। সেই তিনি গত ৫ জুন বাফুফে থেকে পদত্যাগ করেছিলেন চিঠি দিয়ে। এর ১০ দিন পর গত ১৫ জুন পদত্যাগ করেন অপারেশন্স ম্যানেজার মিজানুর রহমানও।
তদন্ত চলাকালে দুই কর্মকর্তার এভাবে পদত্যাগের বিষয়টি প্রশ্নের জন্ম দেয় বেশ। তবে বাফুফের তদন্ত কমিটির সভা শেষে কমিটির সদস্য জাকির হোসেন জানান, তাদের পদত্যাগপত্র জমা নেয়নি বাফুফে। তিনি বলেন, ‘আমরা এটা শুনেছি, কিন্তু দেখিনি। বাফুফে ছাড়ার কথা বললেও তাদের অনেককে বাফুফেতে দেখা গেছে আজকে, আমরা কথাও বলেছি।’
তদন্ত কমিটির কার্যবিধিতে সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে একাধিক জনের কাছ থেকে। তাদেরই একজন আবু হোসেন, জানাচ্ছে বাফুফে সূত্র। জাকির হোসেন জানান, যদি কেউ পদত্যাগ করেও থাকে, তবে তদন্তের প্রয়োজনে তাদের পাবে বাফুফে।
এদিকে তদন্ত কমিটির এক মাসেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে, প্রতিবেদন জমা পড়েনি এখনও। সে প্রতিবেদন ঈদুল আজহার আগেও হাতে পাবে না বাফুফে। তবে ১৫ দিন বর্ধিত সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন জাকির। জানিয়েছেন, প্রতিবেদন লেখার কাজও শুরু হয়ে গেছে গতকাল।
এর আগে গত ১৫ এপ্রিল পুরো বিষয়টির ওপর অধিকতর তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন, যার কার্যক্রম শুরু হয় গত ১০ মে। ৩০ দিনের মধ্যে এই তদন্তের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি, চাওয়া হয় বাড়তি ১৫ দিন সময়।