প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২১ জুন ২০২৩ ০১:৫৩ এএম
বৈষম্য ইস্যুতে নড়েচড়ে বসেছে ফিফা। কদিন আগে বর্ণবাদবিরোধী কমিটি এনেছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। চুল পরিমাণ ছাড় দিতেও প্রস্তুত নয় তারা। এবার ‘নো ডিসক্রিমিনেশন’ হ্যাশট্যাগে ফিফা বিশ্লেষণ করেছে কাতার বিশ্বকাপ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রায় ২ কোটি পোস্ট। বিশ্বকাপের ফয়সালা হওয়ার ছয় মাস পর সেখানের ২০ হাজার পোস্ট নজরদারিতে এনেছে ফিফপ্রো।
ফিফপ্রোর প্রতিবেদনে দেখা গেছে, কাতার বিশ্বকাপে খেলোয়াড়, কোচ ও অফিসিয়ালদের উদ্দেশ করে প্রায় ২০ হাজার আপত্তিকর পোস্ট করা হয়েছে। বিশেষ সফটওয়্যারের মাধ্যমে ২ লাখ ৮৬ হাজার ৮৯৫টি আপত্তিকর পোস্ট আড়াল করে দেওয়া হয়েছে। বিশ্বকাপজুড়ে নজরদারি করেছিল ফিফার ‘সোশ্যাল মিডিয়া প্রটেকশন সার্ভিস’ (এসএমপিএস)। সেখানে দেখা যায়, তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ফ্রান্স। মেক্সিকো দুই নম্বরে, ব্রাজিল তিন এবং চারে অবস্থান করেছে মেসিদের আর্জেন্টিনা।
বিশ্লেষণে ফিফপ্রো জানিয়েছে, ২০ হাজার পোস্টের ২৬ দশমিক ২৪ শতাংশ ছিল নেতিবাচক, ১০ দশমিক ৭০ শতাংশ পোস্ট ছিল বর্ণবৈষম্যমূলক। হুমকি ও হিংসাত্মক পোস্ট ছিল ৪ দশমিক ৬২ শতাংশ। এর বাইরেও যৌনতা ও পারিবারিকভাবে সম্মানহানিকর বিষয়বস্তুও ছিল পোস্টে। বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ৪ লাখ ৩৩ হাজার ৬৯৬টি পোস্টে যে ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে, তা পুরোপুরি আপত্তিকর।
কাতারে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের সময় ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক ও ইউটিউবের ২ কোটি পোস্ট বিশ্লেষণ করেছে ফিফপ্রো। যেখানে ফ্রান্স সবচেয়ে বেশি আপত্তিকর ও গালিগালাজের শিকার হয়েছে। ফিফার অভিযোগের পর এ ধরনের পোস্টের ২৩ শতাংশ মুছে ফেলেছে টুইটার কর্তৃপক্ষ।