প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ জুন ২০২৩ ২৩:২৪ পিএম
ফাইনালের চাপ! তার ওপর ম্যাচটা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনীর বিপক্ষে। চাপ ভর করেছিল মোহামেডানের ওপর। সেটা উতরে শিরোপা নিজেদের ঘরে তুলেছে মোহামেডান। আবাহনী-মোহামেডান দ্বৈরথের সেই পুরোনো আবহ ঠাহর করা যায় না। মঙ্গলবার কুমিল্লার ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে ওই চেহারা ভিন্ন ছিল।
কানায় কানায় পূর্ণ গ্যালারিতে ছিল হাজারো আবাহনী-মোহামেডান সমর্থক। ‘ঢাকা ডার্বি’ চাপ মাথায় নিয়েই খেলেছেন দুই দলের ফুটবলাররা। ওই চাপ জয় করার আনন্দ ছিল সাদা-কালো জার্সিধারীদের দুই জয়ের নায়ক আহসান হাবিব বিপু ও সুলেমান দিয়েবাতের মধ্যে।
টাইব্রেকারে পেনাল্টি ঠেকিয়ে নায়ক বিপু। চাপের ম্যাচে দুই দুইটি পেনাল্টি ঠেকান। চাপের ম্যাচে কীভাবে কাজটি সহজ করলেন? এই প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘আমি চেষ্টা করেছি। বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা। তিনি না থাকলে হয়তো এটা হতো না।’ তবে চাপটা ঠিকই অনুভব করেছেন বিপু, ‘চাপ ছিল। আবাহনীর বিপক্ষে ম্যাচে চাপ থাকাটা স্বাভাবিক। তবে উপভোগ করেছি।’
টাইব্রেকারে গোল ঠেকানোর সময় বিপু কী ভাবছিলেন? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি শুধু অপেক্ষা করছিলাম।’ আবাহনীর দুই গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার রাফায়েল আগুস্তো ও দানিয়েল কলিনদ্রেসের শট ঠেকান বিপু। সেটা নিয়ে বলেন, ‘দুজনই আবাহনীর গুরুত্বপূর্ণ দুই ফুটবলার। ওরা শট নিতে অনেক সময় নিয়েছে। তাতেই আমি কিছুটা বুঝতে পেরেছি। ওরা কোনদিকে শট নেবে। ওইভাবেই ঝাঁপিয়ে পড়েছি।’
ফাইনালে আবাহনীর বিপক্ষে শুরুতে প্রথমে দুই গোলে পিছিয়ে ছিল মোহামেডান। ম্যাচটা কঠিন হয়ে উঠলেও ডাগ আউটে সতীর্থদের ধৈর্য ধরার পরামর্শ দেন বিপু, ‘সবাইকে ধৈর্য ধরতে বলেছিলাম। বলেছিলাম, আমরা ম্যাচে ফিরব। সেটাই হয়েছে।’ অন্যদিকে দিয়াবাতে বলেন, ‘আবাহনী জায়ান্ট দল। তাদের বিপক্ষে জয় পাওয়াটা আসলেই কঠিন ছিল। আমরা জিতব এই আত্মবিশ্বাস ছিল।’
ম্যাচ টাইব্রেকারে নিয়ে যাওয়ার নায়ক সুলেমান দিয়াবাতে বিশ্বাস করতে পারেননি তিনি চার গোল করবেন। এক হালি গোলের পর তার কাছে সবকিছুই মনে হয়েছে অবিশ্বাস্য- ‘চার গোল করব, এমনটা ভাবিনি। তবে গোল করার ইচ্ছা ছিল। সেটা পূর্ণ হয়েছে। আমার কারণে দল জিততে পেরেছে এতেই আমি গর্বিত।’-যোগ করেন দিয়াবাতে।
দিয়াবাতে কিংবা বিপু জয়ের আশা ধরে রাখলেও কোচ আলফাজ আহমেদ অবশ্য এত কিছু আশা করেননি। জোড়া গোল হজমের পর আলফাজের মনে হয়েছিল দল হেরে যাবে। বলেন, ‘দুই গোল খাওয়ার পর মনে হচ্ছিল দল হেরে যাবে। দল জিতবে এমন ভাবনা এসেছিল সমতায় আসার পর।’