প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩১ মে ২০২৩ ১২:১১ পিএম
চন্ডিকা হাথুরুসিংহে এখনও আসেননি। নিক পোথাসের অধীনে ‘প্রি সিরিজ’ ক্যাম্প শুরু করেছে বাংলাদেশ দল। তার অধীনে ব্যাটার ও পেসাররা নিজেদের শানিয়ে নিচ্ছেন। ‘প্রি সিরিজ’ ক্যাম্প শুরু হলেও স্পিনাররা ছিলেন আলাদা।
আরও পড়ুন : সোনালি দিন মনে করাল কুমিল্লা
গত দুই দিন মিরপুর একাডেমি মাঠে স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথের অধীনে নিজেদের শক্তি-সামর্থ্য বাড়িয়ে তোলার কাজ করেছেন। হেরাথের অধীনে হওয়া বিশেষ এই ক্লাসের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘ভ্যারিয়েশন ক্যাম্প’। বিশ্বকাপের আগে স্পিনারদের প্রস্তুত করতে বিশেষ ক্লাসটি নিয়েছেন হেরাথ।
দুই দিনের অনুশীলন ক্যাম্প শেষে গতকাল মিরপুরে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন হেরাথ। মূলত বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে স্পিনারদের প্রস্তুত করাই ছিল এই ক্যাম্পের লক্ষ্য। বড় আসরগুলোতে নিয়মিত খেলা হেরাথ ভালো করেই জানেন স্পিনারদের জন্য বিশ্বকাপ কতটা চ্যালেঞ্জিং হয়। বিশ্বকাপের আগে স্পিনারদের প্রস্তুত করতে তাই বিশেষ কাজ করেছেন। বিশেষ এই ক্যাম্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ভ্যারিয়েশন ও ট্যাকটিকস’ ক্যাম্প।
তিনি বলেন, ‘স্পিনারদের জন্য (বিশ্বকাপের) কন্ডিশন কঠিন হলে চ্যালেঞ্জ তো অবশ্যই। এ জন্য আমরা ভালো করে প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমরা ভ্যারিয়েশন ও ট্যাকটিকস নিয়ে কাজ করেছি। পিচ থেকে সহায়তা না পেলে এগুলো কাজে লাগাতে হবে। বিশ্বকাপের উইকেটে স্পিনারদের তেমন সহায়তা থাকে না।’
দুই দিনের বিশেষ ক্লাসে আলাদাভাবে বেশ কয়েকজন স্পিনারকে চোখে লেগেছে হেরাথের। ওই তালিকায় আছেন তিন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন, নাঈম সাকিব ও আমিনুল ইসলাম।
সুযোগ পেলে তিন লেগ স্পিনার নিজেদের প্রমাণ করতে পারবেন এমনটাই ভাবেন হেরাথ- ‘রিশাদ আছে, আরেকজন আছে নাম নাঈম সাকিব। বিপ্লবও আছে। আমাদের এখন এসব রিসোর্স আছে। তাদের থেকে সেরাটা বের করতে চাই। সুযোগ পেলে আত্মবিশ্বাস ও অভিজ্ঞতা দুই-ই অর্জন করবে।’
স্পিন বোলিং বিভাগ বরাবরই বাংলাদেশের সাফল্যের কারিগর। এখন অবশ্য পেসাররাও আছেন সেই তালিকায়। পুরো বোলিং ইউনিট নিয়েই অবশ্য খুশি হেরাথ, ‘পেসার ও স্পিনার মিলিয়ে কীভাবে সেরা বোলিং ইউনিট তৈরি করা যায়, আমরা সেই চেষ্টাই করছি।’
স্পিন বোলিং নিয়ে আশাবাদী হলে পেসারদের নিয়ে খুশি আছে তার মনে, ‘কেউ ভালো করলে আমরা সবাই খুশি হই, খারাপ করলে সবাই মিলেই সমাধানের পথ খুঁজি। আমরা একটা দল।’ স্পিনার ও বোলারদের কম্বিনেশন কী রকম হবে সেটা নিয়েও প্রশ্ন ছিল হেরাথের কাছে। তার মতে, কন্ডিশনের সঙ্গে কম্বিনেশন মিললে তবেই খুশি তিনি- ‘কম্বিনেশন অনুযায়ী কন্ডিশন মেলালেই আমি খুশি।’
এখন সব প্রস্তুতি বিশ্বকাপকেন্দ্রিক। সাকিবের সঙ্গী হবেন কোন স্পিনার। কিংবা বিশ্বকাপে সাকিবের বিকল্প হিসেবে কেউ থাকবেন কি না সেই প্রশ্নও উঠেছিল। হেরাথ অবশ্য ওইদিকে মনোযোগী নন। নির্বাচকরা কম্বিনেশন ঠিক রেখে দল তৈরি করবেন সেটাই তার চাওয়া- ‘কম্বিনেশন আসল কথা, সেটা ঠিক করবেন নির্বাচকরা। আমার কাজ হলো স্পিনারদের তৈরি রাখা, আমি সেটাই করছি।’
এ ছাড়া বিশ্বকাপ দলে নাসুম আহমেদ ও তাইজুল ইসলামের মধ্যে কাকে নেওয়া হবে সেটা নিয়ে মাথাব্যথা নেই তার। বরং পুরো বিষয়টি নির্বাচকদের ওপর ছেড়ে দিয়েছেন, ‘দল নির্বাচন নিয়ে কোনো ধারণা নেই। এগুলো নির্বাচকরা সিদ্ধান্ত নেবেন। আমি তাদের প্রস্তুত রাখছি, এটাই আমার কাজ।’
নিয়মিত স্পিনারদের পাশাপাশি ব্যাটাররাও বল হাতে কাজ করুক- এমনটাই চাওয়া হেরাথের। ব্যাটাররা কয়েক ওভার বোলিং করলে বাড়তি সুযোগ পাওয়া যায়। সেই চিন্তা থেকেই হেরাথের চাওয়া ব্যাটাররা ৩-৪ ওভার বল করুক। তিনি বলেন, ‘আমি সব সময় চাই হৃদয়-শান্তরা বল করুক। তাহলে বোলিংয়ে বাড়তি সুযোগ পাওয়া যায়।’