প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৭ মে ২০২৩ ২৩:৩৬ পিএম
আপডেট : ২৭ মে ২০২৩ ২৩:৪২ পিএম
জাতীয় দলে দেড় যুগ একসঙ্গে খেললেও কখনও এক ক্লাবে খেলা হয়ে ওঠেনি। সেই আক্ষেপ ঘোচাতেই প্রিয় ম্যানচেস্টার সিটি ছেড়ে ২০২১ সালে বন্ধু মেসির ক্লাব বার্সেলোনায় নাম লেখান সার্জিও আগুয়েরো। মানুষের সব চাওয়া বোধহয় পূরণ করেন না ভাগ্য রূপকার। তা না হলে কেন ওই বছরই বার্সা ছাড়বেন মেসি।
আরও পড়ুন : স্বপ্না শোনেননি কোচের কথা
আর তাকেইবা কেন বিদায় বলতে হবে প্রিয় ফুটবলকে। নয়তো তার নামের সঙ্গেও জুড়তে পারত বিশ্বকাপজয়ীর তকমা। তার জন্য অবশ্য কোনো দুঃখ নেই তার। মেসির বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দ সবচেয়ে বেশি ছুঁয়ে গেছে তাকেই। কাতারে মেসির অপূর্ণতা ঘোচার ম্যাচে পুরো মাঠ মেসিকে কাঁধে নিয়ে চষে বেড়িয়েছেন তিনি।
যেন বিশ্বকাপ তিনিই জিতেছেন; মেসি নয়। বন্ধুত্বটা বোধহয় এমনই হতে হয়, অন্যের অর্জনে ঈর্ষা নয় বরং তৃপ্ত হয় হৃদয়। মেসির সঙ্গে বন্ধুত্বের সেই গল্পই ফিফা প্লাসকে শুনিয়েছেন আগুয়েরো।
‘আমার তখনও ১৭ বছর হয়নি। কয়েকটি প্রীতি ম্যাচের জন্য ডাকা হয় আমাদের। আমরা আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ) কমপ্লেক্সে ছিলাম। একই টেবিলে বসা ছিলাম আমি। সে আমার পাশে বসে। আমি তার দিকে তাকাই। কিন্তু জানতাম না সে কে! আমি ভাবছিলাম, এই ছেলেটা কোথা থেকে এসেছে? আমার তখন একবারও মনে হয়নি যে, এই ছেলেটিই বার্সেলোনা থেকে এসেছে। আমার ভেতর কৌতূহল ছিল এবং নিজেকে আটকাতে পারিনি।'
"আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ‘তোমার নাম কী?’ উত্তর দিল, ‘লিও।’ আবার জিজ্ঞাসা করলাম, ‘তোমার শেষ নাম কী?’ সে বলল, ‘মেসি।’ আমার কোনো ধারণাই ছিল না সে কে। তাই আবার তার শেষ নাম জিজ্ঞাসা করলাম, যদি ভুল শুনে থাকি! সে আবারও বলল, ‘মেসি।’ কিন্তু এটি আমার কাছে কিছুই মনে হয়নি।"
‘এরপর সবাই আমাকে নিয়ে হাসাহাসি শুরু করল, ‘তুমি জানো না, ও কে?’ তখন আমার মাথায় এলো! বার্সেলোনার সেই ছেলেটিই এই মেসি! তখন মেসিসহ আমরা সবাই হাসতে শুরু করলাম। এরপর থেকে বেশ কয়েকবার এটি নিয়ে হেসেছি আমরা।’
ওই দিন মেসিকে চিনতে না পরলেও পরবর্তীতে মেসিই ছিলেন জাতীয় দলে তার সবচেয়ে কাছের বন্ধু। দীর্ঘদিন জাতীয় দলে রুমমেট ছিলেন দুজন। মেসির খারাপ সময়ে সমালোচকদের কড়া জবাব দেন তিনি। আর মেসির অর্জনে ভাসেন আনন্দে।