হেম্প চান ‘দল’ হয়ে উঠুক তরুণরা

তরুণরাই ভবিষ্যৎ। তাদের হাতেই উঠবে দেশের ক্রিকেটের আগামীর মশাল। তাদেরকে গড়তে বিসিবির উদ্যোগ এইচপি ক্যাম্প। লক্ষ্য তরুণদের ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করা। ওই ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা কোচ ডেভিড হেম্প চান তরুণ ক্রিকেটারদের এক সুতোয় বেঁধে রাখতে; যাতে দল হয়ে পারফর্ম করতে পারে। গতকাল মিরপুরে ক্যাম্পের প্রথম দিন শেষে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন হেম্প। সেখানেই এই আশা ব্যক্ত করেন।

আরও পড়ুন : এইচপি নিয়ে ‘আক্ষেপ’ নাঈমুরের

তরুণ ক্রিকেটারদের এক সুতোয় বাঁধতে চাইলেও হেম্প জানান, যা করার সেটা ক্রিকেটারদেরই করতে হবে। এইচপি ক্যাম্পের সাফল্য বলতে তিনি বোঝেন, কতজন ক্রিকেটার পরবর্তী ধাপের জন্য প্রস্তুত হয়েছে। সংবাদমাধ্যমকে হেম্প বলেন, ‘আমরা শুধু মঞ্চ দিতে পারি। যেখানে পরবর্তী ধাপের জন্য ক্রিকেটাররা শিখতে পারে। যাতে তারা জাতীয় দলে প্রতিনিধিত্ব করতে পারে।’ কীভাবে নিজের সাফল্যকে মাপবেন হেম্প? সেই ধারণায় বলেন, ‘কতজন ক্রিকেটার পরবর্তী ধাপে গেল, সেটাই সাফল্যের মাপকাঠি। গুরুত্বপূর্ণ হলো, তারা যেন পরবর্তী ধাপ থেকে বাদ না পড়ে।’ এইচপি ক্যাম্পের মাধ্যমে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে শক্তিশালী করার ইচ্ছা পোষণ করেন হেম্প, ‘নিশ্চিত করতে চাই, বাংলাদেশের ক্রিকেট শক্তিশালী হয়ে উঠবে।’

এইচপিতে কাজ করলেও জাতীয় দলের দিকে নজর আছে হেম্পের। জাতীয় দলের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের চাওয়া অনুযায়ী ক্রিকেটার প্রস্তুতেও কাজ করতে চান। সেই জন্য ক্রিকেটারদের নিজেকে মানিয়ে নিতে হবে বলেও মনে করেন হেম্প, ‘আমি চাই চন্ডিকার (হাথুরুসিংহে) সঙ্গে মিলিয়ে কাজ করতে। জাতীয় দল যে রকম চায়, সে রকম ক্রিকেটার প্রস্তুত করতে। ক্রিকেটারদের সব পরিস্থিতিতে মানিয়ে নিতে হবে।’

বাংলাদেশে নিয়োগ পেয়ে ইতোমধ্যেই হাথুরুসিংহের সঙ্গে কথা বলেছেন। শিগগিরই কথা বলবেন জেমি সিডন্সের সঙ্গে। দুজনের সঙ্গেই কথা বলবেন ক্রিকেটারদের সম্পর্কে, ‘দুই মাস আগে চন্ডিকার সঙ্গে কথা হয়েছে। দ্রুতই জেমির সঙ্গে কথা হবে। এটা অন্য কোচদের বিষয়ে নয়। বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের সম্পর্কে।’

বিসিবির সঙ্গে লম্বা সময় চুক্তি হওয়ায় কাজ করা সুবিধাজনক হবে বলে মনে করেন, ‘অনেক সময় ক্রিকেটাররা তাদের পটেনশিয়াল দেখাতে সময় নেয়। লম্বা সময় চুক্তি হওয়ায় আমার জন্য ভালো হয়েছে। ক্রিকেটারদের সেরাটা বের করতে পারব বলে আশাবাদী।’