প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ মে ২০২৩ ১৫:৩৩ পিএম
প্রথম ম্যাচটায় কোনোক্রমে হার এড়িয়েছিল বাংলাদেশ এ দল। উইন্ডিজ এ দলের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচটাতেও নিজেদের সুবিধাজনক অবস্থানে নিয়ে যেতে পারেনি আফিফ হোসেনের দল। ২৩৭ রান তুলতেই অলআউট হয়েছে। এরপর বোলিংয়েও সুবিধা করতে পারছে না তেমন। উইন্ডিজের সংগ্রহ ইতোমধ্যেই ১৫০ পেরিয়ে গেছে, তাও ৬ উইকেট হাতে রেখেই।
সিলেটে দ্বিতীয় ম্যাচের প্রথম দিনে খেলা হয়েছিল মোটে ৪৯ ওভার। বাংলাদেশের ইনিংস নড়বড়ে হয়ে গিয়েছিল তাতেই। ৫ উইকেট খুইয়ে বসেছিল ১৭৫ রান তুলতেই। সেখান থেকে আজ বুধবার ইনিংসটা খুব বেশি বড় হয়নি স্বাগতিকদের।
বাংলাদেশের ইনিংসটা এত বড়ও হতো না, যদি না শাহাদাত হোসেন দীপু বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে যেতেন। ১২৪ বলে তিনি করেছেন ৭৩। তার এই টেস্ট মেজাজের ইনিংসটাই মূলত বাংলাদেশের ২৩৭ রানের পুঁজির মেরুদণ্ড। নাহয় আগের দিন যেভাবে জাকির হাসান, সাইফ হাসান, আফিফ হোসেনরা ভালো শুরুর পর উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে এসেছেন একে একে, তাতে বড় বিপর্যয়ের প্রমাদই গোণা যাচ্ছিল।
দীপুর স্থিতধী ব্যাটিংয়ে বিপর্যয়ের পরিধিটা খানিকটা ছোট হয়েছে, তাকে সঙ্গ দিয়েছেন নাঈম হাসান। খেলেছেন ৩৬ বলে ১৭ রানের ইনিংস। তাদের বিদায়ের পরই মূলত ইনিংসের ইতি ঘটে বাংলাদেশের।
জবাবে উইন্ডিজকেও শুরুতে বিপাকে ফেলে দিয়েছিল বাংলাদেশ। তেজনারাইন চন্দরপলকে খালেদ আহমেদ বিদায় করে দিয়েছিলেন ১৬ রানেই। তবে এরপর কার্ক ম্যাকেঞ্জির ব্যাটে প্রতিরোধ গড়ে তোলে সফরকারীরা। সঙ্গী ছিলেন রেমন রেইফার। দুজন মিলে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তোলেন ১১৬ রান। তবে দলীয় ১৩২ রানে রেইফার বিদায় নিলেই ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দেয় বাংলাদেশ। ১৩ বলের এদিক ওদিকে তুলে নেয় আরও দুটো উইকেট। সেঞ্চুরি থেকে ৯ রান দূরে থাকতে বিদায় নেন কার্ক ম্যাকেঞ্জিও। প্রতিবেদনটি লেখার আগ পর্যন্ত উইন্ডিজ তুলে ফেলেছে ১৬০ রান, হাতে আছে তাদের আরও ৬ উইকেট।