প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৬ মে ২০২৩ ০৮:২৭ এএম
আপডেট : ১৬ মে ২০২৩ ০৮:৩৭ এএম
লর্ডসে ইংলিশদের বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে শুরু তামিম ইকবালের ইংল্যান্ড যাত্রা। দেশটিতে খুব বেশি খেলার অভিজ্ঞতা না হলেও যাত্রা ‘শেষ’। রবিবার আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে সেই বার্তাটাই দিয়েছেন তামিম। শেষটা রাঙানোর চেষ্টা ছিল। নিজের হাফ সেঞ্চুরি ও দলের সিরিজ জয়ে কিছুটা পূর্ণতা পেয়েছে তামিমের ইংল্যান্ড ‘বিদায়’।
আরও পড়ুন - পঞ্চম ওয়ানডেতেও পাকিস্তানের কাছে হারল যুবারা
রবিবার আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয় ছিল বেশ নাটকীয়। ম্যাচের পাশাপাশি সিরিজ জয়ও নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। ওই ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তামিম তার বিদায়ের বার্তা দিয়ে রাখেন, ‘আমি নিশ্চিত নই আবারও ইংল্যান্ডে আসব কি না, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে। কারণ ইংল্যান্ডে সচরাচর সফর হয় না। আগামী ৩-৪ বছরে কোনো সূচিও নেই। সম্ভবত আমি আমার ক্যারিয়ারের শেষবার ইংল্যান্ডে এলাম।’
ইংল্যান্ডে ‘শেষ’ ম্যাচে রানে ফেরার ইঙ্গিত ছিল তামিমের ব্যাটে। তবে হাফ সেঞ্চুরিকে টেনে নিয়ে বড় ইনিংসে রূপান্তর করতে পারেননি। সেই হতাশা কাজ করেছে তামিমের মধ্যে, ‘কিছুটা হতাশ, কারণ আমার এটা টেনে নেওয়া উচিত ছিল। হাফ সেঞ্চুরি বড় করতে পারলে খুব খুশি হতাম।’
নিজের ওপর হতাশ থাকলেও নাজমুল হোসেন শান্ত ও হাসান মাহমুদকে নিয়ে খুশি তামিম। ওয়ানডে অধিনায়কের ধারণা, তিন নম্বরে শান্ত স্থায়ী। এই নিয়ে অধিনায়কের ভাষ্য, ‘সবশেষ ২-৩ সিরিজ ধরেই সে খুব ভালো খেলছে। আমার মনে হয়, তিন নম্বরে সে নিজের জায়গা পাকা করেছে।’
তরুণ পেসার হাসানের চাপ নেওয়ার সক্ষমতা তামিমের মধ্যে তৈরি করেছে বিস্ময়। এখান থেকে হাসান অনেক কিছু শিখবে বলেও আশাবাদী, ‘সে এখন যেভাবে বোলিং করছে, তা বিশ্বমানের। বয়স খুব কম হলেও ডেথ ওভারে সে দারুণ পরিণত। চাপের মধ্যে সে দারুণ ধীরস্থির। ওখান থেকে সে অনেক কিছু শিখবে।’