প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৫ মে ২০২৩ ০৯:৪১ এএম
আপডেট : ১৫ মে ২০২৩ ০৯:৪৪ এএম
তারকাদের নিয়ে এমন প্রতারণার ঘটনা নতুন নয়! তারপরও নিজের নাম আর ছবি দেখে চমকে উঠেছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। তাকে জড়িয়ে এভাবে অনলাইনে প্রতারণার ফাঁদ ফেলবে কেউ ভাবতেও পারেননি জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক! তাই তো প্রতারক চক্রকে থামাতে আইনের আশ্রয় নেওয়ার পরিকল্পনা করছেন আশরাফুল।
আরও পড়ুন : লা লিগা শিরোপা জিতল বার্সা
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আশরাফুলের ছবি আর ভিডিও ব্যবহার করে ওজন কমানোর ওষুধ বিক্রি করছে Healthy Man-নামের একটি পেজ। যেখানে তারা আশরাফুলের ছবির সঙ্গে একটা ভিডিও যুক্ত করেছে। ২০২২ সালে যখন জাতীয় দলে ফেরার লড়াইয়ে তিনি, তখন অনুশীলনের ফাঁকে গণমাধ্যমে নিজের ফিটনেস নিয়ে কথা বলেন। কী করে ওজন কমিয়ে ফিটনেস ঠিক রাখছেন সেই গল্পটা ছোট্ট করে শোনান তিনি। যেখানে আশরাফুলকে বলতে শোনা যায়, ৫০ দিনে ১২ কেজি ওজন কমানোর কথা। ফিটনেস লেভেল ঠিক রেখে জাতীয় দলে ফেরার প্রত্যয় ছিল তার।
এই ভিডিওটাকেই কাজে লাগিয়েছে প্রতারক চক্র। তারা আশরাফুলের জনপ্রিয়তাকে পুঁজি করে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা শুরু করেছে। ব্যাপারটা নজরে আসতেই প্রতিদিনের বাংলাদেশের সঙ্গে এই তারকা ক্রিকেটার বলছিলেন, ‘প্রতারকদের এমন কাণ্ডে আমি রীতিমতো বিস্মিত। আমি স্পষ্ট করে জানাতে চাই, এমন কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমার সম্পর্ক নেই। ওজন কমানোর যে বিজ্ঞাপনে আমার ছবি আর ভিডিও যুক্ত করা হয়েছে তার কিছুই আমার জানা ছিল না। আমি নিজেও ওদের কোনো ট্যাবলেট সেবন করে ওজন কমাইনি।’
অথচ আশরাফুলের নাম ব্যবহার করে দিব্যি ফেসবুকে ব্যবসা করে যাচ্ছে হেলদি ম্যান-নামের পেজ থেকে। যেখানে প্রতিষ্ঠানটির ঠিকানা দেওয়া হয়েছে চট্টগ্রামের। আশরাফুল এই প্রতারক চক্রকে ছেড়ে দিচ্ছেন না। সাইবার ক্রাইমে অভিযোগ করার পরিকল্পনা করেছেন তিনি, ‘আমি ওদের বিরুদ্ধে সাইবার ক্রাইম বিভাগে অভিযোগ করব। ওরা আমার নাম ব্যবহার করে ব্যবসা করছে। মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে যাচ্ছে। ওদের প্রতিরোধ করাটা জরুরি।’
আশরাফুলের মতোই এর আগে প্রতারক চক্রের শিকার হয়েছিলেন জাতীয় দলের আরেক ক্রিকেটার তাসকিন আহমেদ। পেশিবর্ধক ভুয়া ওষুধের মডেল বানানো হয়েছিল জাতীয় দলের এই তারকা পেসারকে। ব্যাপারটা নজরে আসতেই তাসকিন আইনের আশ্রয় নিয়ে থামিয়েছিলেন তাদের।
এই তো দিন কয়েক আগেই বড় প্রতারণা থেকে রক্ষা পেয়েছেন ভারতের সাবেক তারকা ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকার। মুম্বাইয়ের একটি প্রতিষ্ঠান মেদ কমানোর স্প্রে, বেলি বার্নারসহ নানান পণ্যের বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করে ভারতীয় এই কিংবদিন্তর ছবি। বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করে শচীনের নকল করা কণ্ঠ (মিমিক্রি), ভারতের ব্যাটিং কিংবদন্তিকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয় পণ্যটির পরামর্শক হিসেবে। বলা হয়, পণ্যটি কিনলে শচীন টেন্ডুলকারের স্বাক্ষরিত টি-শার্টও মিলবে। কিন্তু এর কিছুই জানতেন না খোদ শচীন। তাই তো সাইবার পুলিশের কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করেছেন এই মহাতারকার ব্যক্তিগত সহকারী রমেশ পারধে।
এবার ঠিক এই পথেই হাঁটতে যাচ্ছেন আশরাফুল। প্রতারণার শিকার হয়ে আইনের আশ্রয় নিতে যাচ্ছেন তিনি!